‘কোকেন পিৎজা’ বিক্রির দায়ে জার্মানিতে রেস্তোরাঁ মালিকসহ গ্রেপ্তার ১৬

রেস্তোরাঁটির ‘পিৎজা নম্বর ৪০' খুব নাটকীয়ভাবে মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ৷ ফাইল ছবি: ডয়চে ভেলে
রেস্তোরাঁটির ‘পিৎজা নম্বর ৪০' খুব নাটকীয়ভাবে মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ৷ ফাইল ছবি: ডয়চে ভেলে

জার্মানির ডুসেলডর্ফ শহরে এক অভিনব পিৎজার খোঁজ পাওয়া গেছে। কোকেনযুক্ত এই পিৎজা বিক্রির অভিযোগে রেস্তোরাঁ মালিকসহ মোট ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় পুলিশ।

রেস্তোরাঁটির 'পিৎজা নম্বর ৪০' খুব নাটকীয়ভাবে মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। 

পিৎজা রেস্তোরাঁটি চিজ, টমেটো ও ময়দা দিয়ে বানানো পিৎজার পাশাপাশি অবৈধ উপাদান সরবরাহের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছে।পুলিশ জানিয়েছে, রেস্তোরাঁর 'পিৎজা নম্বর ৪০' নামের মেনু আইটেমটিতে পিৎজার সঙ্গে কোকেন সরবরাহ করা হতো।

এক বিবৃতিতে জার্মান পুলিশ জানায়, 'এটি সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া পিৎজাগুলোর একটি ছিল।'

৩৬ বছর বয়সী রেস্তোরাঁ মালিক তার বাড়িতে পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ব্যাগ ভর্তি মাদক জানালা দিয়ে ছুঁড়ে ফেলেন। তবে ব্যাগটি পুলিশের হাতেই পড়েছে।

অভিযুক্ত রেস্তোরাঁ মালিকের অপরাধে জড়ানোর অতীত কোনো রেকর্ড নেই।

গ্রেপ্তারের দুদিন পর রেস্তোরাঁর মালিককে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল৷ পুলিশ জানায়, মুক্তি পাওয়ার পর রেস্তোরাঁ মালিক আবারও 'পিৎজা নম্বর ৪০' সরবরাহ করা শুরু করে। তবে পুলিশ বলছে এর মাধ্যমে তারা কোকেনের সরবরাহ ও বিপণনের অন্যান্য সূত্র সম্পর্কেও জানতে পেরেছে।

১৫০ জন সদস্যের সমন্বয়ে পরিচালিত অভিযানে পুলিশ এক কেজি ৬০০ গ্রাম কোকেন, ৪০০ গ্রাম গাঁজা ও  নগদ দুই লাখ ৬৮ হাজার ইউরো জব্দ করেছে।

জার্মানির নর্থ রাইন ওয়েস্টাফালিয়া রাজ্যে মাদকের সরবরাহ বন্ধ করতে বেশ কিছুদিন ধরেই মাদকবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে জার্মান পুলিশ।

ডিপিএ

Comments

The Daily Star  | English

The ceasefire that couldn't heal: Reflections from a survivor

I can’t forget the days in Gaza’s hospitals—the sight of dismembered children and the cries from phosphorus burns.

6h ago