ওটিটি নীতিমালা চূড়ান্তে অংশীজনদের মত নেওয়ার সুপারিশ সংসদীয় কমিটির

ফাইল ছবি

ওটিটি (ওভার দ্য টপ) খসড়া নীতিমালা নিয়ে অংশীজনদের মতামত নিয়ে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন উপস্থাপনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছে এ সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

আজ বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজকের বৈঠকে ওটিটি নীতিমালা মন্ত্রণালয় উপস্থাপন করেনি। আমরা অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ করতে বলেছি। তাদের মতামত নিয়ে একটা বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিটিতে দিতে বলা হয়েছে।'

ওটিটিনির্ভর বিভিন্ন ওয়েব প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনৈতিক-আপত্তিকর ভিডিও কনটেন্ট পরিবেশন রোধে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে এসব প্ল্যাটফর্ম নিয়ন্ত্রণ-তদারকিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চেয়ে ২০২০ সালে রিট হয়।

রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ৮ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। রুলে ওটিটিনির্ভর বিভিন্ন ওয়েব প্ল্যাটফর্ম তদারকির জন্য নীতিমালা প্রণয়নে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

গত বছরের ১৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট তিন মাসের মধ্যে খসড়া নীতিমালা দাখিল করতে নির্দেশ দেন। পরে বিটিআরসি গত জানুয়ারিতে খসড়া নীতিমালা আদালতে দাখিল করে। শুনানি নিয়ে তখন আদালত চার মাসের মধ্যে চূড়ান্ত নীতিমালা প্রণয়নে অগ্রগতি জানিয়ে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।

গত ১৩ জুন এক আদেশে আগামী তিন মাসের মধ্যে ওটিটি নির্ভর বিভিন্ন ওয়েব প্ল্যাটফর্মে অনৈতিক-আপত্তিকর ভিডিও কনটেন্ট পরিবেশন রোধ, তদারকি ও রাজস্ব আদায়ে চূড়ান্ত নীতিমালার বিষয়ে পদক্ষেপ-অগ্রগতি জানিয়ে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) আদালতে এই প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

২০২০ সালে আদালতের নির্দেশের পর একটি খসড়া তৈরি করে তথ্য মন্ত্রণালয়। সেটির ওপর অংশীজনদের মতামতও নেওয়া হয়। খসড়া নীতিমালা চূড়ান্ত করার আগে আরও মতামত নেবে বলে সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

সংসদীয় কমিটির সভাপতি হাসানুল হক বলেন, 'মন্ত্রণালয় বিস্তারিত প্রতিবেদন দিলে আমরা পর্যালোচনা করে সুপারিশ দেব।'

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় (বাসস) শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার সুপারিশ:

বৈঠকে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ এবং অনুপস্থিতির জন্য বেতন কাটার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সিমিন হোসেন (রিমি), মো. মুরাদ হাসান ও খন্দকার মমতা হেনা লাভলী অংশ নেন।

Comments

The Daily Star  | English
Technical education hit by teacher shortage

Technical education hit by teacher shortage, falling enrolment

Bangladesh’s technical education sector is facing a slow-burning crisis, shaped by a severe shortage of teachers, poor infrastructure, and steadily declining student interest.

12h ago