বিদেশে ছড়ানো গুজবের জবাব দিতে পারছে না পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়: সংসদীয় কমিটি

এজন্য কমিটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে সমন্বয় করার সুপারিশ করেছে।
ফাইল ছবি

সরকারের বিরুদ্ধে দেশের বাইরে যেসব মিথ্যা অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার যথাযথ জবাব দিতে পারছে না বলে মনে করছে সংসদীয় কমিটি। এজন্য কমিটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে সমন্বয় করার সুপারিশ করেছে।

আজ বুধবার জাতীয় সংসদে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকার বিরোধী প্রচারণার উত্তর দেওয়ার জন্য কমিটি আগেই মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছিল। ওই সুপারিশের অগ্রগতির বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, যেসব দেশ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে, বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলো সংশ্লিষ্ট দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সেই অপপ্রচারের প্রতিবাদ ও যৌক্তিক জবাব দিতে সদা তৎপর। অপপ্রচার মোকাবিলা করার জন্য এবং বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার জন্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর সঙ্গে কার্যক্রম চলমান।

অপপ্রচার প্রতিরোধে তারা নিয়মিত সংবাদ সম্মেলন, টুইটারে জবাব দিচ্ছে বলেও মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়।

তবে কমিটি বলেছে, যে পরিমাণ গুজব সরকারের বিরুদ্ধে রটানো হচ্ছে, অসত্য কথা বলা হচ্ছে তার সেই পরিমাণ জবাব দেখা দিতে দেখা যাচ্ছে না।

পরে সংসদীয় কমিটি বলে, দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাড়াও আরও কিছু মন্ত্রণালয় গুজবের জবাব দিয়ে থাকে। সেগুলো খুঁজে দেখে ওই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য সুপারিশ করে কমিটি।

কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান গণমাধ্যমকে বলেন, 'সরকারের বিরুদ্ধে যেসব গুজব ও মিথ্যা তথ্য রটানো হচ্ছে তার জবাব দিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছি। একইসঙ্গে বলেছি তাদের (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) যদি জনবলের অভাব থাকে তাহলে অন্যান্য যেসব মন্ত্রণালয় এ নিয়ে কাজ করে তাদের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য।'

সরকারের সাফল্য ও দেশের অগ্রযাত্রায় বিদেশি সরকার, সংস্থা, গণমাধ্যম এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে তুলে ধরা হয় বলে মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়।

এতে আরও বলা হয়, দেশের বাইরে অবস্থান করে রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা, অপপ্রচারকারী, উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদানকারী এবং তালিকাভুক্ত দুষ্কৃতিকারীদের বিষয়েও মন্ত্রণালয় সচেতন রয়েছে এবং তাদেরকে নিবৃত্ত করার জন্য নানাবিধ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

Comments