শিহাব হত্যা মামলা: তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে পরিবারের অসন্তোষ

সন্তানের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার দাবিতে শিহাবের বাবা-মায়ের আহাজারি। ছবি: মির্জা শাকিল/ স্টার

টাঙ্গাইলে স্কুল ছাত্রাবাসে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী শিহাবের মৃত্যুর দুই সপ্তাহ পার হলেও তদন্তের অগ্রগতি ও তদন্তকারীদের আচরণ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ জানিয়েছে শিহাবের পরিবার।

আজ রোববার এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার স্কুলের আবাসিক শিক্ষক আবু বক্করকে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রোববার সকালে সদর থানা পুলিশ ৫ দিনের রিমান্ড শেষে আবু বক্করকে টাঙ্গাইলের সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামছুল আলমের আদালতে উপস্থাপন করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন আদালত পরিদর্শক তানভীর আহম্মেদ।

শিহাবের বাবা ইলিয়াস হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তারা এমনকি বাকি ৫ আসামির কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করেনি।'

'স্কুলের মালিকপক্ষ ধনাঢ্য ও প্রভাবশালী হওয়ায় একইসঙ্গে তদন্তকারীদের আচরণে আমি এখন সন্তান হত্যার ঘটনায় ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা করছি,' বলেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত ২০ জুন সখীপুর উপজেলার বেরবাড়ি গ্রামের প্রবাসী ইলিয়াস হোসেনের ছেলে শিহাবকে (১১) টাঙ্গাইল সৃষ্টি একাডেমী স্কুলের হোস্টেলে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ দাবি করেন, শিহাব হোস্টেলের সপ্তম তলার একটি বাথরুমে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

পরে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে শিহাবের মৃত্যু শ্বাসরোধ বা গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

ঘটনার ৬ দিন পর গত জুন ২৬ শিহাবের মা আসমা আক্তার আবু বক্করসহ ওই  স্কুলের ৬ আবাসিক শিক্ষককে আসামি করে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

যোগাযোগ করা হলে টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর মোশারফ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার শিক্ষকের দেওয়া তথ্যগুলো যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Economic expectations: Did govt fall short?

When an interim government was sworn into office following the ouster of the Awami League regime just 100 days ago, there was an air of expectation that the Prof Muhammad Yunus-led administration would take steps to salvage a scam-ridden financial sector and rescue an ailing economy.

8h ago