শিহাবের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত ও বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
টাঙ্গাইলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী শিহাবের (১০) মৃত্যুর ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচারের দাবিতে আজ সোমবার শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং মানববন্ধন করেছেন সৃষ্টি স্কুল ও কলেজের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শিক্ষার্থীদের মিছিলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয় এবং পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেন তারা।
জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত বক্তব্যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আগামী ৭ দিনের মধ্যে সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের চিহ্নিত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের দাবি জানান। অনথ্যায় কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার কথা বলেন তারা।
এ ছাড়াও, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সৃষ্টি স্কুলের সব কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানান তারা।
বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা বলেন, 'শিহাবের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় থেকে টিসি দেওয়ার হুমকির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। শিহাবের হত্যাকাণ্ডকে আত্মহত্যা বলে চালাতে যারা বা যেসব মহল পায়তারা করেছে এবং প্রচার প্রচারণা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।'
পরে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেন।
এদিকে গতকাল শ্বাসরোধে শিহাবের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর র্যাব এবং পুলিশ সৃষ্টি স্কুলে অভিযান চালিয়ে স্কুলের অধ্যক্ষসহ মোট ৯ শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় এবং র্যাব ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর মোশারফ হোসেন জানান, পুলিশ আটক ২ শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাদের একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং আরেকজনকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
টাঙ্গাইল র্যাব ১২-এর ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-৩ এর স্কোয়াড কমান্ডার এরশাদুর রহমান জানান, সৃষ্টি স্কুলের অধ্যক্ষসহ আটক ৭ শিক্ষককে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে, তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুমতি ছাড়া এলাকা ত্যাগ করতে পারবে না এই শর্তে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২০ জুন সখীপুর উপজেলার বেরবাড়ি গ্রামের সিঙ্গাপুরপ্রবাসী ইলিয়াস হোসেনের ছেলে শিহাবের মরদেহ টাঙ্গাইল শহরের সৃষ্টি স্কুলের সপ্তম তলার ছাত্রাবাস থেকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, শিহাব বাথরুমে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে পরিবারের দাবি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
Comments