টেকনাফ ইউএনওর ভাষা আপত্তিকর, দুর্ভাগ্যজনক, অগ্রহণযোগ্য: হাইকোর্ট
সাংবাদিককে গালিগালাজ করায় কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কায়সার খসরুকে তিরস্কার করেছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, 'টেকনাফ ইউএনও যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, তা আপত্তিকর, দুর্ভাগ্যজনক ও অগ্রহণযোগ্য। তার কথাগুলো সত্যি হলে, সেগুলো একজন মাস্তানের চেয়েও খারাপ। রং হেডেড পারসন ছাড়া আর কেউ এ ধরনের গালিগালাজ করতে পারেন না। একজন সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে ইউএনওর শালীন ভাষা ব্যবহার করা উচিত ছিল।'
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান গত ২২ জুলাই প্রথম আলো ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টে প্রকাশিত ইউএনও কায়সার খসরুর ঢাকা পোস্টের সাংবাদিক সাইদুল ফরহাদকে গালিগালাজের জন্য দুঃখ প্রকাশের প্রতিবেদন আদালতের সামনে তুলে ধরলে আদালত এই পর্যবেক্ষণ দেন।
শুনানির সময় আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আদেশ দেওয়ার জন্য হাইকোর্টকে অনুরোধ করেন।
হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ ও গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ।
বেঞ্চ বলেন, 'সাংবাদিকরা কোনো অন্যায় করলে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল বা আদালতে অভিযোগ করা যেতে পারে, কিন্তু আইন হাতে নেওয়া যাবে না।'
ইউএনও কায়সার খসরুর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে হাইকোর্ট ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিককে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জেনে এই আদালতকে জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট।
ডিএজি আমিন উদ্দিন মানিক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ইউএনও কায়সার খসরু সাংবাদিকের সঙ্গে তার আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে। ইউএনওর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না তা জানতে আমি এখন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলব এবং তারপর হাইকোর্টকে জানাব।'
গত জুলাই ২১ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন নিয়ে সাংবাদিক সাইদুল ফরহাদকে গালিগালাজ করেন ইউএনও মো. কায়সার খসরু।
Comments