পরিচয় গোপন করে পুরস্কার, লঘুদণ্ড ‘তিরস্কার’ পেলেন সাবেক ইউএনও

পদবী গোপন করে নিজের ও স্ত্রীর নামে জাতীয় পুরস্কারের আবেদন করে জেলা ও বিভাগীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করেছিলেন ইউএনও। পরে পুরস্কারের জন্য মনোনীতও হন তিনি। 

কিন্তু, দায়িত্বশীল পদে থেকে স্বার্থের সংঘাতের এমন নজির তৈরি করে কর্তৃপক্ষকে বিব্রত করা ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগে অবশেষে ওই কর্মকর্তাকে লঘুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

শাস্তিপ্রাপ্ত মোহাম্মদ রুহুল আমীন চট্টগ্রামের হাটহাজারীর সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবং বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ চা বোর্ডের সচিব (ভারপ্রাপ্ত) পদে কর্মরত।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোহাম্মদ রুহুল আমীন হাটহাজারীর ইউএনও থাকাকালে ২০২২ সালের ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ ও বৃক্ষমেলার আগে পদবী গোপন করে নিজের ও স্ত্রীর নামে বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কারের জন্য আবেদন করেন।

তিনি নিজেই ওই পুরস্কার প্রদান সংক্রান্ত উপজেলা কমিটির সভাপতি ছিলেন এবং পদাধিকার বলে তিনি নিজের আবেদন জেলা ও বিভাগীয় কমিটির নিকট সুপারিশ করেন।

বৃক্ষরোপণে পুরস্কার প্রদানের নীতিমালা (সংশোধনী) ২০১৩ অনুযায়ী, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি করপোরেশন প্রাতিষ্ঠানিকভাবে 'গ' শ্রেণিতে আবেদন করার যোগ্য এবং সে অনুযায়ী হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের সৃজিত ব্লক বাগান 'গ' শ্রেণিতে পুরস্কারের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়।

কিন্তু, রুহুল আমীন বিজয়ী নির্ধারণ প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন এবং ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ না হওয়ায় ও বদলিজনিত কারণে চূড়ান্ত পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগতভাবে পুরস্কার নেওয়ার সুযোগ না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পুরস্কারের আবেদন প্রত্যাহারের চিঠি দেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশ করান এবং এতে মন্ত্রণালয় ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ায় তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী 'অসদাচরণ' এর অভিযোগে বিভাগীয় মামলা করা হয়।

পরে তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয় এবং ২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারি তার শুনানি হয় এবং তদন্ত প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হয়।

তবে তিনি বেশ কয়েকটি বাগান তৈরি করে জনস্বার্থের জন্য ইতিবাচক কাজ করায় তাকে বিধি অনুযায়ী 'তিরস্কার' সূচক লঘুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Students suffer as NCTB fails to deliver books

Only 37% of 40.15cr textbooks distributed till first half of Jan

12h ago