চট্টগ্রামে আরও ২ কনটেইনার মদ জব্দ, ৩ দিনে জব্দ ৫ কনটেইনার
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আজ সোমবার আরও ২ কনটইনার মদ জব্দ করেছে কাস্টমস কর্মকর্তারা। এ নিয়ে গত ৩ দিনে ৫ কনটেইনার মদ জব্দ করা হয়েছে।
আজ সোমবার জব্দ হওয়া কনটেইনার ২টিতে কী পরিমাণ মদ আছে, তা গণনার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার সালাউদ্দিন রিজভী।
এর আগের ৩ কনটেইনারে প্রায় ৪৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা মূল্যের প্রায় ৪৭ হাজার লিটার মদ পাওয়া গেছে।
আগের ৩টি চালান আমদানি হয়েছিল কুমিল্লা, নীলফামারীর উত্তরা ও ঈশ্বরদী ইপিজেডের ৩টি প্রতিষ্ঠানের ভুয়া আইপি (আমদানির অনুমতিপত্র) ব্যবহার করে।
চালান ৩টির আমদানিকারক পৃথক হলেও খালাসের দায়িত্বে ছিল জাফর আহমেদ নামের সিএন্ডএফ এজেন্ট। এ ঘটনায় ৩ জনকে গতকাল রোববার ঢাকা থেকে আটক করেছে র্যাব।
সোমবার আটক হওয়া চালান ২টি আনা হয়েছে উত্তরা ইপিজেডের প্রতিষ্ঠান ডং জিন ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল কোম্পানি ও মংলা ইপিজেডের ভিআইপি ইন্ড্রাস্ট্রিজ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড প্রতিষ্ঠানের নামে। আগে জব্দ হওয়া চালান ৩টির মধ্যে ডং জিন ইন্ড্রাস্ট্রির একটি চালান ছিল।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির উপমহাব্যবস্থাপক গাজী মো মাকসুদ উর রহীম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা কৃত্রিম চুল ও চুল সম্পর্কিত পণ্য উৎপাদন করে শতভাগ রপ্তানি করি। আমাদের কারখানার সুতার ব্যবহার নেই। তা ছাড়া, যেসব আইপি ব্যবহার করা হয়েছে, তাও আমাদের নয়।'
এদিকে, ৩টি ঘটনায় একই চক্র জড়িত বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর ও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের কর্মকর্তারা।
সালাউদ্দিন রিজভী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চট্টগ্রাম পোর্ট কন্ট্রোল ইউনিট (পিসিএ) চালান ২টির বিস্তারিত তথ্য খতিয়ে দেখে সন্দেহ হওয়ায় আজ শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হচ্ছে। চালান ২টি খালাসের জন্য কোনো বিল অফ এন্ট্রি দাখিল না হওয়ায়, এ চালান ২টি খালাসের সঙ্গে একই সিএন্ডএফ জড়িত কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে আমদানির ধরন দেখে একই চক্র জড়িত বলে ধারণা করছি।'
Comments