বিলাসপণ্য আমদানিতে সম্পূর্ণ মূল্য অগ্রিম পরিশোধের নির্দেশ

bangladesh bank logo

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখতে বিলাসবহুল ও অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ঋণপত্র (এলসি) খোলার সময় সম্পূর্ণ মূল্য অগ্রিম পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আমদানিকারকদের থেকে অগ্রিম আদায় করতে আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি চিঠিতে দেশের সব ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, পণ্যের আমদানির ঋণপত্রের বিপরীতে প্রয়োজনীয় মূল্য আমদানিকারকদের নিজস্ব উৎস থেকে নিতে হবে।

সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে আমদানিকারকের কোন ঋণ হিসাব থেকে বা নতুন কোনো ঋণ হিসাব খুলে আমদানি ঋণপত্রের বিপরীতে পণ্য আমদানির সুযোগ দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বিলাসবহুল পণ্যের মধ্যে মোটরগাড়ি, এয়ার কন্ডিশনার, রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিন জাতীয় ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স হোম অ্যাপ্লায়েন্স, স্বর্ণ ও স্বর্ণালঙ্কার, মূল্যবান ধাতু ও মুক্তা, তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, প্রসাধনী, আসবাবপত্র ও সাজসজ্জা সামগ্রী, ফল ও ফুল, খাদ্যশস্য ছাড়া অন্যান্য খাদ্যপণ্য, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য ও পানীয়, অ্যালকোহল জাতীয় পানীয়, তামাক, তামাকজাত দ্রব্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।

তবে, শিশুখাদ্য, অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্য, জ্বালানি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর স্বীকৃত জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, কৃষি সংশ্লিষ্ট পণ্য এবং সরকারি অগ্রাধিকার প্রকল্পে ব্যবহারের জন্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে অগ্রিম পরিশোধ করতে হবে না।

এছাড়া অন্যান্য সব পণ্যের আমদানি ঋণপত্রের ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ নগদ অগ্রিম আদায়ের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

করোনা মহামারি থেকে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের সময় দেশে বৈদেশিক মুদ্রার বাজার অস্থিতিশীল হওয়ায় অতিরিক্ত আমদানি রোধ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়ে এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গত অর্থবছরের জুলাই থেকে মে মাসের মধ্যে প্রায় ৭৫ দশমিক ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩৯ শতাংশ বেশি।

গত অর্থবছরের ১১ মাসে এ যাবৎকালের রেকর্ড ৩০ দশমিক ৮১ ডলার বাণিজ্য ঘটতি তৈরি হয়েছে।

এদিকে বর্তমানে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার বড় দুই উৎস রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের প্রবাহ কিছুটা থমকে আছে।

২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-মে মাসের মধ্যে রেমিট্যান্স প্রবাহ বার্ষিক ১৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ কমে ১৯ দশমিক ১৯ বিলিয়ন হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Govt slashes heart stent prices by up to Tk 88,000

Health ministry revises rates for US-made coronary stents to ease patient costs

6m ago