চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি কমে ৯ শতাংশ হবে: বিশ্বব্যাংক
বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে আসবে। ফলে বাংলাদেশের মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেতে পারেন।
আজ মঙ্গলবার প্রকাশিত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেটের অক্টোবর সংখ্যায় বিশ্বব্যাংক বলেছে, সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ২০২৪ অর্থবছরের ৯ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে ২০২৫ অর্থবছরে ৯ শতাংশে নেমে আসবে।
তবে, রাজনৈতিক বিক্ষোভের অনিশ্চিত প্রভাব ও সরকারের চলমান পরিবর্তনের কারণে অর্থনীতির মাত্র চার শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে বহুজাতিক ঋণদাতা সংস্থাটি।
বিশ্বব্যাংক বলছে, 'বাংলাদেশ এখন গণঅভ্যুত্থান ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার প্রভাব কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। তবে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুরোপুরি স্বাভাবিক করার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।'
তারা আরও বলেছে, উচ্চ আমদানি ব্যয় ও সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় পূর্বাভাসের সময়কালে মূল্যস্ফীতি উচ্চ থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের বাজারে খাদ্যদ্রব্য বিশেষ করে সবজির দাম যখন আকাশছোঁয়া, ঠিক তখন বিশ্বব্যাংকের এই পূর্বাভাস সামনে এলো।
এর আগে তিন সপ্তাহ আগে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) যে পূর্বাভাস দিয়েছিল, বিশ্বব্যাংকের এই পূর্বাভাসের সঙ্গে তার মিল আছে। ম্যানিলাভিত্তিক এডিবি পূর্বাভাস দিয়েছিল, টাকার অবমূল্যায়নে সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়া ও উচ্চ আমদানি ব্যয়ের কারণে ২০২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির গড় হার ছিল ৯ দশমিক ৭ শতাংশ, ২০২৩ অর্থবছরে যা ছিল ৯ শতাংশ।
২০২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ভোক্তা মূল্যস্ফীতিও বেড়েছে গড়ে ১০ দশমিক ৭ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংক বলছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক সরকার পরিবর্তনের সময় সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় মূল্যস্ফীতি বেড়েছিল।
এদিকে জুলাইয়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ১ শতাংশ এবং প্রথম প্রান্তিকে গড়ে ১১ দশমিক ৯ শতাংশ। তবে খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ কমতে শুরু করায় মূল্যস্ফীতি কমার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
অন্যদিকে অব্যাহত মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় ২০২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকেও মুদ্রানীতি কঠোর রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
Comments