সুস্থ জীবনের জন্য প্রভাতের ১ লাখ কিলোমিটার সাইক্লিং
সুস্থ জীবন ধারণের জন্য ঢাকা শহরে ৯ বছর আগে সাইক্লিং শুরু করেছিলেন প্রভাত চৌধুরী(৩১)। আজ ৯ বছর পরে তার সাইক্লিংয়ের দুরুত্ব ১ লাখ কিলোমিটার পূর্ণ হয়েছে।
প্রভাতের এই অর্জন ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে রেকর্ড করেছে প্রফেশনাল অ্যাথলেট অ্যাপ স্ট্রাভা। বাংলাদেশি অ্যাথলেটদের মধ্যে প্রভাত চৌধুরীই প্রথম যিনি স্ট্রাভাতে ১ লাখ কিলোমিটার সাইকেল চালানোর রেকর্ড করলেন।
মহাখালীর বাসিন্দা প্রভাত চৌধুরী চাকরি করেন ঢাকার একটি করপোরেট হাউজে। সাইক্লিং তার শখ। ঢাকা শহরে যেখানেই যান না কেন প্রিয় সাইকেলটা সঙ্গে রাখেন তিনি। নিজে সুস্থ থাকতে এবং অন্যদের সাইক্লিংয়ে আকৃষ্ট করতেই সাইকেল চালিয়ে অফিসে যান প্রভাত। গত ৫ বছর ধরে সাইকেল চালিয়ে অফিস করছেন তিনি।
প্রভাত বলেন, '২০১৩ সালের নভেম্বরে স্ট্রাভা অ্যাপের সঙ্গে ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হই। এটা প্রফেশনাল এবং নন-প্রফেশনাল সবাই ব্যবহার করে। আপনি কখন কোথায়, কত গতিতে সাইকেল চালিয়েছেন সব রেকর্ড থাকে এই অ্যাপে। জিপিএস ট্র্যাকারের মধ্যে সফটওয়ারটি সব তথ্য রেকর্ড করে রাখে। গত ৯ বছরে আমি অনেকগুলো প্রফেশনাল সাইক্লিং প্রতিযোগিতায়ও অংশ নিয়েছি।'
প্রভাত এর মধ্যে তিনটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও অংশ নিয়েছেন। তার মধ্যে একটি হলো ২০২১ সালে মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় ১ হাজার ৬৭০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। এই ইভেন্টে তিনি সাপোর্টিং পেসার হিসেবে অংশ নেন।
প্রভাত বলেন, 'মূলত আমি নিজেকে সুস্থ রাখতে সাইক্লিং শুরু করি। খুব ছোটবেলায় সাইকেল চালানো শিখি কিন্তু আসতে আসতে যখন বড় হই তখন বুঝতে পারি ঢাকা শহরে সুস্থ থাকতে হলে সাইক্লিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর পরে তখন চাকরি জীবন শুরু হয় তখন সাইকেল নিয়ে অফিসে যেতে শুরু করি।
২০১৩ সালে আমি যখন ঢাকার নিকুঞ্জে গ্রামীণফোন অফিসে চাকরি শুরু করি তখন আমার বাসা ছিল ১৫ কিলোমিটার দূরে, মালিবাগে। সেখান থেকে ৩ বছর আমি সাইকেল চালিয়ে প্রতিদিন অফিসে যেতাম। এতে করে রোজ আমার সময় বাঁচতো প্রায় দেড় ঘণ্টা। তাছাড়া ট্রাফিক জ্যাম এবং শব্দ দূষণের কবল থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পেতাম।'
'ইচ্ছে করলে এখন আমি একটি মোটরবাইক কিনতে পারি কিন্তু আমি মনে করি ঢাকাতে সাইকেল চালিয়ে চলাফেরা করলে বেশিদিন সুস্থ থাকা সম্ভব। তাই এখন আমি সাইকেল নিয়েই অফিসে সবখানে চলাফেরা করি,' বলেন তিনি।
প্রভাত বলেন, 'ঢাকা শহরে যাদের বাসা থেকে অফিস ১ থেকে ৩-৪ কিলোমিটারের ভেতরে তারা চাইলে অনায়াসে সাইকেল চালিয়ে অফিসে চলাফেরা করতে পারেন। এতে করে ঢাকা শহরের শব্দ দূষণ, বায়ু দূষণ এবং ট্রাফিক জ্যাম অনেক কমে আসবে। এই ম্যাসেজ আমি সবাইকে দিতে চাই।'
Comments