ছাত্রদলের জেলা কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব: থানা প্রাঙ্গণে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ১৫

ছবি: স্টার

শরীয়তপুরে ছাত্রদলের নতুন জেলা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার বিকেলে শহরের পালং মডেল থানার প্রাঙ্গণে এই সংঘর্ষ হয়।

সূত্র জানিয়েছে, এদিন সকালে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এইচএম জাকিরকে আহ্বায়ক ও রা হয়েছে শরীয়তপুর সরকারি কলেজ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল তালুকদারকে সদস্যসচিব করে নতুন ৩৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা হয়। এই কমিটি বাতিলের দাবিতে জেলা ছাত্রদলের একটি পক্ষ দুপুরে শহরের কোর্ট এলাকা ও সরকারি কলেজের পাশে বিক্ষোভ মিছিল ও অবরোধ করে। পরে পুলিশ হস্তক্ষেপে নেতাকর্মীরা সড়ক ছেড়ে দেন।

বিকেলে উপজেলা পরিষদ এলাকা থেকে আহ্বায়ক এইচএম জাকির ও সদস্যসচিব সোহেল তালুকদারের নেতৃত্বে অপর অংশ আনন্দ মিছিল বের করেন। একই সময়ে কোর্ট এলাকা থেকে পদবঞ্চিত পান্থ তালুকদার, বাবু মাদবর ও আফজাল খানের নেতৃত্বে আরেকটি মিছিল বের হয়।

মিছিল দুটি পালং মডেল থানা অতিক্রম করার সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ থানা প্রাঙ্গণ ও পালং বাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, জানিয়েছে সূত্র।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষ চলাকালে সাকিব আল হাসান নামে এক পথচারীর মাথায় ইটের আঘাত লেগেছে। এছাড়া একটি কাপড়ের দোকানের কাঁচ ভেঙে যায়। এরপরই বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেন।

সাকিব দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি পোশাক কিনতে এসেছিলাম। হঠাৎ দুইপক্ষের সংঘর্ষ শুরু হলে একটি ইট এসে আমার মাথায় লাগে। আমি রাস্তায় পড়ে যাই, পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়।'

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রদলের সদস্যসচিব সোহেল তালুকদার বলেন, 'অনেকে কাঙ্ক্ষিত পদ না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চাচ্ছিলাম। তার মধ্যেই আমাদের আনন্দ মিছিলে হামলা হয়েছে। আমরা ফুটেজ দেখে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।'

অন্যদিকে আফজাল খান অভিযোগ করেন, 'জাকির ও সোহেলের সমর্থকরা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের লোকজন নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমরা যে দাবি তুলেছি—বিবাহিত ও অছাত্রদের বাদ দিয়ে প্রকৃত ছাত্রদের নিয়ে পক্ষপাতহীন কমিটি করতে হবে। এই দাবি মানা না হলে আন্দোলন চলবে।'

জেলা পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম মোবাইল ফোনে ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সংঘর্ষকারীরা থানা সংলগ্ন এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়েছেন। কিন্তু তারা থানায় ইটপাটকেল ছোড়েননি বা ভাঙচুর করেননি। তবু ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

In Sarishabari, para sandesh sweetens Eid celebrations

Behind each piece of this delicate dessert lies hard work and precision

2h ago