সবচেয়ে বড় কথা শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে: ছাত্রলীগকে প্রধানমন্ত্রী

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ছাত্রসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার কোনো ভয় নেই। দেশের মানুষকে ভালোবাসি। স্বাধীনতার চেতনায় বাংলাদেশকে গড়ে তুলব।

আজ শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ছাত্রসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'ছাত্রলীগের ছেলে-মেয়েরা ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের কাণ্ডারি হবে। শুধু ৪১-শে থেমে থাকবে না বাংলাদেশ। ২১০০ সালের ডেল্টা প্ল্যানও আমি করে দিয়েছি। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় আর কেউ বাধা দিতে পারবে না। অতন্দ্র প্রহরীর মতো ছাত্রলীগকে সবসময় সজাগ থাকতে হবে।' 

'সবচেয়ে বড় কথা শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে। শিক্ষা-শান্তি-প্রগতি, ছাত্রলীগের মূলনীতি। এই নীতি মেনেই ছাত্রলীগকে চলতে হবে', বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, 'আমার মা ছাত্রলীগকে সবসময় নিজে দেখাশোনা করতেন। আমার বাবা যখন জেলে থাকতেন, ছাত্রলীগকে পরামর্শ দেওয়া, ছাত্রলীগের সঙ্গে দেখা করা, ছাত্রলীগকে নির্দেশনা দেওয়া, এমনকি কী শ্লোগান দিতে হবে, আমার আব্বা যেটা বলে দিতেন সেটা ছাত্রলীগকে পৌঁছে দেওয়া, এই কাজগুলো আমার মা সবসময় করেছেন।'

তিনি বলেন, 'আমার মা ছিলেন একজন গেরিলা। কোনোদিন পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা তাকে ধরতে পারেনি। তিনি এমনভাবে এই কাজগুলো করতেন, যা সত্যি শেখার মতো। আন্দোলন-সংগ্রাম, ৭ জুনের হরতাল থেকে শুরু করে প্রতিটি আন্দোলনে আমার মা অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন।'  

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, 'কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায় বলতে হয়, "বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর"।'

তিনি বলেন, 'আমার মা সবসময় বাবার পাশে ছিলেন বলেই তিনি নির্বিঘ্ন-চিত্তে এ দেশের মানুষকে ভালোবেসে তাদের জন্য কাজ করতে পেরেছিলেন। আমার একটাই লক্ষ্য, এই বাংলাদেশটাকে উন্নত করা। সুকান্তের ভাষায় বলতে চাই, "এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার"।'

'আমার আব্বার খুব প্রিয় পঙক্তি রবীন্দ্রনাথের, "উদয়ের পথে শুনি কার বাণী, ভয় নাই, ওরে ভয় নাই, নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই"। আমি সেই আদর্শ নিয়ে পথ চলি', যোগ করেন তিনি। 

 

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: A day of sharing for some, a day of struggle for others

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

1h ago