বৈষম্যবিরোধী ও ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আনন্দ মোহন কলেজ বন্ধ
ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজে হলের সিট বরাদ্দ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে 'ছাত্রলীগ সমর্থিত' শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
রোববার বিকেলের এই ঘটনার জেরে কলেজ তিনদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে কলেজের হোস্টেল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আনন্দ মোহন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আমান উল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সোমবার সকাল ৮টার মধ্যে ছেলেদের হল ছাড়তে হবে। তবে মেয়েরা হলে থাকতে পারবে। কলেজে শৃঙ্খলা ফেরাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'
কলেজ শিক্ষার্থীদের দাবি, রোববার বিকেলে হোস্টেলের সিট বরাদ্দ নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের মিটিং ছিল। এ সময় ছাত্রলীগ সমর্থিত একদল শিক্ষার্থী এসে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। পরে সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আশিকুর রহমানসহ তার লোকজন এবং ছাত্রদল কর্মীরা উপস্থিত হলে ছাত্রলীগ সমর্থিত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
কয়েকজন শিক্ষার্থী দাবি করেছেন, হল নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টিকারী শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের নয়, বরং সাধারণ শিক্ষার্থী।
পুলিশ জানায়, এ সংঘর্ষের ঘটনায় মেহেদী হাসান শিমুল, আল আমিনসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী উপস্থিত হলে সন্ধ্যা ৭টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, 'কলেজের পরিবেশ এখনো উত্তপ্ত। যেকোনো মুহূর্তে আবারও সংঘর্ষের আশঙ্কায় সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।'
Comments