পালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় নিহত ৩: ছাত্রলীগের ৭ নেতা-কর্মী বহিষ্কার
ঝিনাইদহে ছাত্রলীগের এক গ্রুপের ওপর আরেক গ্রুপের হামলা এবং হামলা থেকে বাঁচতে দ্রুত পালানোর সময় সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের ৩ নেতা-কর্মী নিহত হওয়ার পর 'শৃঙ্খলা পরিপন্থী' কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার দায়ে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকসহ ৭ নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
গতকাল রোববার রাতে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সজীব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বহিষ্কৃতরা হলেন- জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ফাহিম হাসান সনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস হাদিউজ্জামান আরিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসরাম অর্ক, কর্মী নিয়ন এবং সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী ফরহাদ হোসেন, মুস্তাকিম ও ফরহাদ হোসেন-২।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের নীতি-আদর্শ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকায় তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।
একইসঙ্গে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের কাছেও সুপারিশ করা হয়।
ঝিনাইদহে সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজীবুল হাসানের সঙ্গে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল বহিষ্কৃত জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ফাহিম হাসান সনির। গত শুক্রবার রাতে বিষয়টি সমাধানের জন্য ঝিনাইদহ শহরে জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের কাছে আসেন সজীবুল। রাত সাড়ে ১০টার দিকে কলেজে ফেরার পথে জোহান ড্রীম ভ্যালী পার্কের সামনে পৌঁছালে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় ফাহিম ও তার সমর্থকরা।
হামলায় সজীবুল হাসানসহ ২ জন গুরুতর আহত হন। সে সময় সজীবুলের সঙ্গে থাকা ভেটেরিনারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মুরাদ হাসানসহ অন্যদেরও উপরেও হামলা হয়। হামলা থেকে থেকে বাঁচতে দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেলে করে পালানোর সময় সদর উপজেলার ১৮ মাইল নামক জায়গায় মুরাদসহ ৩ জন নিহত হন।
এ ঘটনায় পরদিন শনিবার বিকেলে সজীবুল হাসান বাদি হয়ে ফাহিম হাসান সনিকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর সেদিন রাতেই সদর উপজেলার কোরাপাড়া এলাকা থেকে নয়ন মিয়া ও সংগ্রাম জোয়ার্দ্দার নামের ২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
Comments