সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালায় যা আছে

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে শিক্ষা মন্ত্রনালয়।

গতকাল বুধবার প্রকাশিত এ নীতিমালা অনুযায়ী, প্রথম থেকে নবম শ্রেণির প্রতি শাখায় ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী থাকতে পারবে না এববং আসন খালি শাখা সাপেক্ষে সব শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে।

এ নীতিমালা ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু হবে এবং প্রথম শ্রেণীতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের সর্বনিম্ন বয়স হতে হবে ৫ বছর। পরবর্তী শ্রেণিগুলোতে বয়স নির্ধারণের বিষয়টি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে প্রযোজ্য হবে বলে এতে উল্লেখ করা হয়। 

ভর্তি প্রক্রিয়া কমিটি

ঢাকা মহানগরীর স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে ১২ সদস্যের কমিটি থাকবে এবং জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা পর্যায়ে ইউএনওর সভাপতিত্বে কমিটি গঠন হবে।

কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানের তারিখ ও সময় এবং আবেদন ফি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ নির্ধারণ করবে। 

'ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটি' নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী নির্ধারিত সফটওয়্যারে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। একই কমিটি কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে সারাদেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবে। 

সারাদেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির আবেদন ও আবেদন ফি গ্রহণ এবং ডিজিটাল লটারির ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ ও প্রকাশ কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। 

লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীর তালিকার পাশাপাশি শূন্য আসনের সমান সংখ্যক অপেক্ষমান শিক্ষার্থীর তালিকাও প্রস্তুত করতে হবে। ভর্তি কমিটি নির্ধারিত তারিখে নির্বাচিত শিক্ষার্থী ভর্তি না হলে অপেক্ষমান তালিকা থেকে তালিকার ক্রমানুসারে ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রকাশিত অপেক্ষমান তালিকার ক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে বলে নীতিমালায় জানানো হয়েছে। 

এতে আরও বলা হয়, একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ৫টি বিদ্যালয়ে ভর্তির পছন্দক্রম দিতে পারবে। তবে ডাবল শিফট স্কুলে উভয় শিফট পছন্দ করলে ২টি বিদ্যালয় হিসেবে গণ্য হবে।

Comments

The Daily Star  | English
government bank borrowing target

Govt to give special benefits to employees, pensioners from July 1

For self-governing and state-owned institutions, the benefit must be funded from their budgets

54m ago