প্রাথমিকের ২৫ শতাংশ বই ১ জানুয়ারি যাচ্ছে না শিক্ষার্থীর হাতে

রাজধানীর মাতুয়াইলে নতুন বই তৈরির কাজ করছেন প্রকাশনার কর্মীরা। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

কাগজের উচ্চ মূল্য, লোডশেডিং এবং ওয়ার্ক অর্ডার দিতে দেরি হওয়ায় আগামী শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারি প্রাথমিক শিক্ষার্থীর প্রায় ২৫ শতাংশ পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করতে সক্ষম হবে না কর্তৃপক্ষ। 

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান ফরহাদুল ইসলাম এ বিষয়ে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এর ফলে কোনো সমস্যা হবে না, কারণ শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনেই সব শিক্ষার্থী তাদের সব পাঠ্যপুস্তক সংগ্রহ করতে আসে না।'

মাধ্যমিকের বই সময়মতো সব উপজেলায় পৌঁছে যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছি।'

'প্রাথমিক ও মাধ্যমিক সব শিক্ষার্থী ১০ জানুয়ারির মধ্যে তাদের সবগুলো পাঠ্যপুস্তক পেয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে,' যোগ করেন ফরহাদুল ইসলাম।

গতকাল দুপুর পর্যন্ত প্রাথমিকের ১০ কোটি পাঠ্যপুস্তকের ৬২ শতাংশ এবং মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের প্রায় ২৪ কোটি বইয়ের ৮০ শতাংশ উপজেলাগুলোতে পৌঁছেছে।

বিভিন্ন জেলার শিক্ষকরা জানিয়েছেন, বইগুলো খুব নিম্নমানের কাগজে ছাপা হয়েছে এবং ছাপার মানও খারাপ বলে মনে হচ্ছে।

এনসিটিবি সদস্য মশিউজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কাগজের সংকট একটি বড় ধরনের সমস্যা ছিল। কিন্তু প্রাথমিক পাঠ্যপুস্তক ছাপার দরপত্র পেয়েছে এমন বেশ কয়েকটি মুদ্রণ কোম্পানি এনসিটিবির সঙ্গে চুক্তি করেনি।'

'প্রথমজন কাজ না করলে আমাদের দ্বিতীয় দর দাতাকে কাজ দেওয়ার পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে', যোগ করেন তিনি।

এতে অনেক দেরি হয় এবং গত ১ ডিসেম্বর থেকে প্রাথমিকের বই ছাপার কাজ শুরু হয়।

তবে প্রাথমিক বইয়ের পৃষ্ঠা সংখ্যা মাধ্যমিক বইয়ের তুলনায় কম হওয়ায় তারা অল্প সময়ের মধ্যে এতগুলো বই ছাপতে পেরেছে। 

আগে শুধু প্রাথমিক স্তরে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হতো। এতে নিম্ন-আয়ের মানুষ বা সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়ের অনেক শিক্ষার্থীর জন্য বই কেনা কঠিন ছিল।

এ ছাড়া সময়মতো বই ছাপানো ও বিতরণ না করে অনেক সময় কৃত্রিম সংকট তৈরি করতো প্রকাশকরা। কিছু ক্ষেত্রে, বইগুলো মার্চ-এপ্রিল বা তার পরে পাওয়া যেত।

২০১০ সাল থেকে সরকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উভয় শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাবর্ষের শুরুতে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করে আসছে।

দেশ-বিদেশের প্রশংসা কুড়িয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০০ কোটি বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।

এই সাফল্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতির পাশাপাশি ঝরে পড়ার হার কমিয়েছে বলে জানায় এনসিটিবি কর্মকর্তারা।

 

 

Comments

The Daily Star  | English

'Shoot directly': Hasina’s order and deadly aftermath

Months-long investigation by The Daily Star indicates state forces increased deployment of lethal weapons after the ousted PM authorised their use

1d ago