উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে বশেফমুবিপ্রবিতে শিক্ষকদের কর্মবিরতি

উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে বশেফমুবিপ্রবিতে শিক্ষকদের কর্মবিরতি
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

জামালপুরের মেলান্দহে অবস্থিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষক।

উপাচার্যের বিরুদ্ধে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে শিক্ষকরা ১ নভেম্বর থেকে টানা ১০ দিন ধরে কর্মবিরতি পালন করছেন। উপাচার্যকে অপসারণ না করা পর্যন্ত তারা ধর্মঘটসহ সকল শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার হুঁশিয়ারি দেন।

কর্মসূচির নেতৃত্ব দিচ্ছেন সহকারী প্রক্টর মাহবুবুর আলম, ড. আব্দুস সাত্তার, সহকারী অধ্যাপক ও মৎস্য বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আল মামুন সরকারসহ আরও অনেকে। ভিসির অপসারণের দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা ।

এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মাহমুদুল আলম বলেন, 'আমরা ১ নভেম্বর থেকে কর্মবিরতি পালন করছি। ২ নভেম্বর উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি, যেখানে ১০টি যৌক্তিক দাবি উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো দাবির বাস্তবায়ন হয়নি।'
উপাচার্য সরাসরি নানা ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তাই তাকে কেউ পদে দেখতে চায় না বলেও দাবি করেন তিনি।

ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. এএইচএম মাহবুবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, 'উপাচার্য অধিকাংশ সময়ই অনুপস্থিত থাকেন, ফলে বিশেষ প্রয়োজনের সময়ও তাকে পাওয়া যায় না। এছাড়া দুর্নীতিবাজ কাউকে আমরা ভিসি হিসেবে দেখতে চাই না।'

অভিযোগ ও আন্দোলন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, 'নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের দুর্নীতি বা স্বজনপ্রীতির সঙ্গে আমি জড়িত নই। শিক্ষকদের স্মারকলিপি পাওয়ার পর দাবিগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও শিক্ষকরা কেন আন্দোলন করছেন তা আমার বোধগম্য নয়।'

Comments

The Daily Star  | English
High Court

Fresh probe by home ministry needed: HC

The August 21, 2004 grenade attack case should be referred to the home ministry for a fresh probe by a proper and expert investigation agency to ensure justice, observed the High Court in its full verdict

33m ago