অধ্যাপক ড. খুরশীদা বেগম কুয়েটের ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর’
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) 'বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর' হিসেবে অধ্যাপক ড. খুরশীদা বেগমকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অধ্যাপক ড. খুরশীদা বেগম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষক।
'বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর' নিয়োগে কুয়েট দেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম এবং সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে চতুর্থ।
আজ বুধবার কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেটের ৮৩তম সভায় 'বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর' নিয়োগ দেওয়া হয়।
এর আগে গত ১০ ও ১৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৭৩তম সভায় 'বঙ্গবন্ধু চেয়ার' নীতিমালা অনুমোদন করা হয়।
উপাচার্য ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, 'কুয়েটে "বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর" নিয়োগের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম, রাজনৈতিক দর্শন, মুক্তিযুদ্ধ এবং প্রকৌশল ও প্রযুক্তির সঙ্গে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক নানা বিষয় নিয়ে কাজ করার সুযোগ তৈরি হলো। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ নিয়ে গবেষণা কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।'
'আশা করি, কুয়েটের "বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর" প্রথিতযশা গবেষক ড. খুরশীদা বেগমের হাত ধরে কুয়েটে বঙ্গবন্ধু চর্চার দিগন্ত প্রসারিত হবে,' যোগ করেন তিনি।
উপাচার্যের সভাপতিত্বে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট 'বঙ্গবন্ধু চেয়ার নির্বাহী কমিটি' কর্তৃক অনুমোদিত একটি কমিটির মাধ্যমে সুপারিশকৃতদের মধ্য থেকে সিন্ডিকেটের অনুমোদনক্রমে ২ বছরের জন্য এ নিয়োগ কার্যকর করা হয়।
কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন কুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মিহির রঞ্জন হালদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট খুলনার সদস্য এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোসাম্মৎ হোসনে আরা, কুয়েটের রেজিস্ট্রার ও কমিটির সদস্য-সচিব প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমান ভূঞা।
উল্লেখ্য, 'বঙ্গবন্ধু চেয়ার' পদটি সৃষ্টি করা হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৌরবময় জীবন ও কীর্তি, আদর্শ ও কর্ম এবং ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, উচ্চ শিক্ষা, বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিষয়ে গবেষণার জন্য।
নীতিমালা অনুযায়ী পিএইচডি ডিগ্রীধারী জাতীয় বা আন্তর্জাতিকভাবে সর্বজনবিদিত বাংলাদেশি পণ্ডিত, শিক্ষকতায় অন্তত ২০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন, স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথিতযশা অধ্যাপক 'বঙ্গবন্ধু চেয়ার' হিসেবে প্রতি ২ বছর অন্তর এই নিয়োগ পাবেন।
তিনি 'বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর' সম্মানীসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাবেন।
Comments