৭৪ দিন পর গতকাল রোববার একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শিক্ষকরা আজ সোমবার দ্বিতীয় দিনেও ক্লাসে ফেরেননি।
উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এ নিয়ে পোস্ট দেন। তিনি লেখেন, ‘এই প্রশাসন একটা টিম। এখানে কারো উপর অন্যায় আঘাত, সকলের উপর আঘাত। আমরা এই স্পিরিট ধারণ করি।'
সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে গিয়ে দেখা যায়, সবগুলো একাডেমিক ভবনে ঝুলছে তালা। শিক্ষার্থীরা কোথাও নেই। কিছুক্ষণ পর কয়েকজন শিক্ষকের দেখা মেলে। নর্থ বিল্ডিংয়ের নিচে...
লোকো মাস্টারের দক্ষতায় সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
বৃহস্পতিবার থেকে চাকরিপ্রত্যাশীদের কয়েকজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশন কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। এই ঘোষণার পর তারা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন।
এপ্রিল থেকে জুন মাসে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে, বিশেষ করে জারুলতলা, জয় বাংলা চত্বর ও বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সারি সারি জারুল ফুলের গাছ দেখা যায়।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) চার শিক্ষার্থী দুর্বৃত্তের হামলায় আহত হয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভিসি ড. মুহাম্মদ মাছুদ ও প্রোভিসি শেখ শরীফুল আলমকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
দাবি পূরণে আজ আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ বিকেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক, সহকারী পরিচালকসহ একাধিক শিক্ষক অনশন ভাঙতে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করেন। তবে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিতে এখনো অনড়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন চলার মধ্যেই এ ঘটনা ঘটেছে।
বিকেল ৪টার দিকে তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক এসে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
সংঘর্ষ তীব্র হলে, রাস্তার দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও একটি সিন্ডিকেট সভার জন্য এই প্রক্রিয়া আটকে আছে।
গতকাল বিকেল ৪টার দিকে শিক্ষার্থীরা ড. এম.এ. রশিদ হলের সামনে তোষক, বালিশ, বিছানার চাদর নিয়ে জড়ো হন। তারা সেখান থেকে ছাত্রকল্যাণ কেন্দ্রে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে অনশন শুরু করেন।
কয়েকজন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক বলেন, ‘ম্যাজিস্ট্রেটসহ সরকারি কর্মকর্তারা সারাক্ষণ পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত ছিল এবং এদিন পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত গার্ড দেওয়া হয়।’
প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নেন।
আজ বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে তারা অনশনে বসেন।