দিনভর সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সায়েন্স ল্যাব এলাকা

শিক্ষার্থীরা সায়েন্সল্যাব মোড়ে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে দেয় এবং পুলিশ বক্স ভাঙচুর করে। ছবি: স্টার

রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের মধ্যে দুপুর থেকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক।

বিকেল ৫টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সায়েন্স ল্যাব এলাকায় পুলিশ বক্স ভাঙচুর করে।

এর আগে বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় টিচার্স ট্রেইনিং কলেজের ভেতরে ছাত্রলীগ অবস্থান নেয়। বাইরে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা। 

ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতাল সূত্র জানায়, দুপুর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত হাসপাতালটিতে অন্তত ১০০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন।

সায়েন্সল্যাবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ
ইট পাটকেলের আঘাতে অন্তত তিন জন আহত হয়েছেন। ছবি: স্টার

এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হামলায় এক পুলিশ সদস্য আহত হন।

ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে দুপুরে সাতটি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিটি কলেজ, আইডিয়াল কলেজ ও হামদর্দ কলেজের কয়েকশ শিক্ষার্থী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

বিক্ষোভকারীরা সায়েন্স ল্যাব মোড়ে অবস্থান নিয়ে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে স্লোগান দেন।

সায়েন্সল্যাবে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা
ছবি: স্টার

এ সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ঢাকা কলেজের দিক থেকে এগিয়ে এলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের ধাওয়া দেয়। এরপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও শিক্ষার্থীদের পাল্টা ধাওয়া দেয়। দফায় দফায় চলতে থাকে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া।

রাজধানীর মিরপুর রোডে রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছবিটি দুপুর ২টার দিকে তোলা। ছবি: রাশেদ সুমন/ স্টার

সেখানে কমপক্ষে ১০টি ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন আমাদের সংবাদদাতা।

সংঘর্ষের মধ্যে অনেক শিক্ষার্থী পাশের পপুলার হাসপাতালে আশ্রয় নেন। মিরপুর রোডের দুই পাশেই গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

ধানমন্ডি ২৭ নম্বর রোডে আন্দোলনরত কলেজ শিক্ষার্থীরা। দুপুর সোয়া ২টার দিকে তোলা ছবি। ছবি: রাশেদ সুমন/ স্টার

বিকেলে ঢাকা কলেজের সামনে একটি রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

 

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

7h ago