শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও ২ হত্যা মামলা

শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকায় গুলিতে শিক্ষার্থীসহ দুই জন নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও দুটি হত্যা মামলা হয়েছে।

ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যুর ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৯৪টি মামলা হয়েছে যার বেশিরভাগই হত্যার অভিযোগে।  

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।

গত ১৯ জুলাই পশ্চিম রামপুরার বাসিন্দা আমির হোসেনের মৃত্যুর শেখ হাসিনাসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আফনান সুমির আদালতে হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে আজ বুধবার মামলাটি করেন আমির হোসেনের স্ত্রী আন্নি।

শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন।

মামলার আসামিদের মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী রয়েছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবনের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় তার স্বামীকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

এদিকে ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালীতে শিক্ষার্থী ইমরান হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় শেখ হাসিনা, সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানিয়া আমিরসহ ২৯৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

ইমরানের মা কোহিনুর আক্তার গত রোববার আসামিদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন বলে আদালতে কর্মরত একজন উপ-পরিদর্শক জানান।

মামলার আসামিদের মধ্যে আছেন সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল ও সৈয়দ হায়দার আলী, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, একাত্তর টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাবু ও সিনিয়র সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান (মঞ্জু) আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, তাজুল ইসলাম ও সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুকেও এ মামলার আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট তার ছেলে ইমরান হোসেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেয় এবং সকাল ৯টার দিকে যাত্রাবাড়ী থানা পার হওয়ার সময় তাকে গুলি করা হয়। চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Banking fix may cost $5b-$6b

Says finance adviser; the amount is way below IMF’s $35b estimate

13h ago