মূল ক্যাম্পাসে ফেরার দাবিতে চবিতে চারুকলা শিক্ষার্থীদের প্রতীকী ক্লাস

চারুকলা ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনার দাবিতে ক্যাম্পাসে প্রতীকী ক্লাস। ছবি: স্টার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনার দাবিতে এবার প্রতীকী ক্লাস আয়োজন করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

আজ রোববার সকাল দশটায় মূল ক্যাম্পাসের বুদ্ধিজীবী চত্বরে এই কর্মসূচি পালন করেন চারুকলার শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে ইনস্টিটিউটের ১৫-১৬ সেশনের এক শিক্ষার্থী শিহাব শাহরিয়ার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের আন্দোলন ২৬তম দিনে গড়িয়েছে। আমরা সব দিক থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। আপাতত অস্থায়ী ভিত্তিতে হলেও মূল ক্যাম্পাসে আমাদের ক্লাস শুরু হোক।'

একই সেশনের আরেক শিক্ষার্থী মোহাম্মদ জহির উদ্দিন অভি বলেন, 'আমদের প্রতিনিধি উপাচার্য স্যারের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিল। উপাচার্যের কক্ষে প্রক্টর স্যার কথা বলেছেন। তিনি জানান, উনারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ থাকায় সিদ্ধান্ত আসতে কিছুটা সময় লাগছে।'

উল্লেখ্য, গত ২ নভেম্বর অবকাঠামোগত বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দাবিতে শুরু হয় এই আন্দোলন তবে বর্তমানে শিক্ষার্থীরা মূল ক্যাম্পাসে ফেরার একমাত্র দাবী নিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে।

শ্রেণিকক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ায় ১১ দাবিতে ২ নভেম্বর ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ শুরু করেন ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। তারপর থেকে তাদের ক্লাস বর্জন অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি তারা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন।

ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ৫ নভেম্বর উপাচার্য শিরীণ আখতার বরাবর চিঠি দেন শিক্ষার্থীরা। গত বুধবার তারা ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় ১০ নভেম্বর শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম নগরের বাদশা মিয়া সড়ক অবরোধ করেন। এরপর বুধবার সকাল ৯টা থেকে ইনস্টিটিউটের ফটকে তালা দিয়ে অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

চবিতে চারুকলা বিভাগের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭০ সালে। ২০১০ সালে নগরের সরকারি চারুকলা কলেজের সঙ্গে এক হয়ে গঠিত হয় চারুকলা ইনস্টিটিউট।

ইনস্টিটিউটের অবস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে নগরের মেহেদীবাগের বাদশা মিয়া সড়কে। বর্তমানে ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৫৩ জন। তাদের মধ্যে ছাত্রী ১৭৯ জন, ছাত্র ১৭৪ জন।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, ইনস্টিটিউটের শ্রেণিকক্ষগুলোর অবস্থা জীর্ণশীর্ণ। ছাত্রীদের জন্য মাত্র একটি শৌচাগার আছে। আবাসনসুবিধা পান মাত্র ১৩ শিক্ষার্থী। গ্রন্থাগারে বই নেই। ডাইনিংয়ে খাবারের ব্যবস্থা নেই। পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় তারা মূল ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে চান।

 

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

6h ago