২০তম দিনে চবির চারুকলা শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

চবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন,
চবির চারুকলা শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, ছবিটি রোববার রাতে তোল। ছবি: স্টার

মূল ক্যাম্পাসে ফেরার দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের মূল ফটকে তালা দিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের আন্দোলন ২০ দিনে প্রবেশ করেছে।

আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের বাদশা মিয়া সড়ক অবরোধ করে তারা আন্দোলন করেন। দুপুর ২টার পর সেখান থেকে সরে ক্যাম্পাসের ভিতরে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে, গতকাল ইন্সটিটিউটের পরিচালকসহ ১২ শিক্ষককে ৯ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল বিকেল থেকে শিক্ষার্থীরা ইন্সটিটিউটের সামনে অবস্থান করছিলেন। তখন ইনস্টিটিউটের ভেতরে প্রশাসনিক ভবনে অবস্থান করছিলেন শিক্ষকরা। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা দাবি তোলেন ব্যক্তিগত কোনো জিনিস নিয়ে ইনস্টিটিউটের বাইরে যেতে দেওয়া হবে না শিক্ষকদের।

ইন্সটিটিউটের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী জহির রায়হান বলেন, 'আমাদের দাবি এখন একটাই, আমরা মূল ক্যাম্পাসে ফেরত যেতে চাই। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলতে থাকবে।'

স্নাতকোত্তরের আরেক শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শহীদ বলেন, 'ক্যাম্পাস স্থানান্তরের কাগজপত্র নেওয়ার শর্তে আমরা ইনস্টিটিউটের ভেতরে শিক্ষকদের ঢুকতে দিয়েছিলাম। পরে তারা নিজেদের ব্যক্তিগত কাগজপত্র নিয়ে বের হচ্ছিল। এ কারণে আমরা গেট অবরুদ্ধ করি। পরে রাত সোয়া ২টার দিকে ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ছাড়াই শিক্ষকরা ইনস্টিটিউট থেকে বের হন।'

সহকারী প্রোক্টর মুহাম্মদ ইয়াকুব বলেন, 'চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতেই আমরা ইনস্টিটিউটের ভেতরে গিয়েছিলাম। তবে শিক্ষকদের আয়কর রিটার্নের কিছু কাগজপত্র ইনস্টিটিউটের কার্যালয়ে ছিল। কয়েকজন শিক্ষক তা নিয়েছিলেন। কিন্তু তার জেরে শিক্ষার্থীরা যে ধরনের আচরণ শিক্ষকদের সঙ্গে করেছেন তা দুঃখজনক।'

এর আগে, গত ২ নভেম্বর ১১ দাবিতে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ শুরু করেন ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। সেদিন থেকেই ক্লাস বর্জন অব্যাহত আছে। চারুকলা ইন্সটিটিউটের চলমান সমস্যা সমাধানে ১১ নভেম্বর ১৪ সদস্যের কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, চবিতে চারুকলা বিভাগের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭০ সালে। ২০১০ সালে নগরের সরকারি চারুকলা কলেজের সঙ্গে এক হয়ে গঠিত হয় চারুকলা ইনস্টিটিউট। ইনস্টিটিউটের অবস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে, নগরের মেহেদীবাগের বাদশা মিয়া সড়কে। বর্তমানে ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৫৩ জন।

 

Comments

The Daily Star  | English

Economic expectations: Did govt fall short?

When an interim government was sworn into office following the ouster of the Awami League regime just 100 days ago, there was an air of expectation that the Prof Muhammad Yunus-led administration would take steps to salvage a scam-ridden financial sector and rescue an ailing economy.

6h ago