চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে নিহত ২
![চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ২ চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ২](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/ctg_map_1.jpg)
চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার সাইফুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, নিহতদের একজন চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী। আরেকজন পথচারী।
তিনি বলেন, 'বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত দুই জন হলেন মো. ফারুক (৩২) ও ওয়াসিম আকরাম (২৪)। এদের মধ্যে ওয়াসিম চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র এবং ফারুক ব্যবসায়ী।
সাইফুল বলেন, 'কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। আমরা উভয় গ্রুপকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করছি।'
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নুজহাত ইনু ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, 'ওয়াসিমকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে এবং ফারুককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আনা হয়েছিল। আহত আরও ৩০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।'
ফারুকের স্ত্রী সীমা জানিয়েছেন, 'তার স্বামী ফার্নিচার দোকানে কাজ করতেন।'
ঘটনাস্থল থেকে ডেইলি স্টারের প্রতিবেদক জানিয়েছেন, চট্টগ্রামে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন দুপুর ১টার দিকে ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। বিকেল ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা পূর্বঘোষিত আন্দোলনে যোগ দিতে শুরু করলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এছাড়া মুরাদপুর, ষোলশহর রেলস্টেশন ও ষোলশহর ২ নম্বর গেট এলাকার বিভিন্ন মোড়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছেন।
সূত্র জানিয়েছে, মুরাদপুর এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। জবাবে তারাও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পিছু হটে মুরাদপুর মোড়ে গিয়ে বেলাল কমপ্লেক্সের একটি বাণিজ্যিক ভবনে আশ্রয় নেন। এরপর ওই ভবনের ছাদ থেকে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এক পর্যায়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মারধর শুরু করেন।
যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কোটা সংস্কার আন্দোলনের আড়ালে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা যোগ দিয়েছে। দুপুর আড়াইটার দিকে মুরাদপুর মোড়ে ছাত্রলীগের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা করে।'
তিনি বলেন, 'হামলায় ছাত্রলীগের অন্তত ১০ নেতাকর্মী ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র সুদীপ্ত ও আলমগীরের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। আহত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।'
Comments