ঢাবি প্রক্টরের পদত্যাগ চাওয়ায় শিক্ষকের ব্যক্তিগত নথি তলবের অভিযোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত প্রক্টরের পদত্যাগ চাওয়ায় এক শিক্ষকের ব্যক্তিগত নথি তলবের অভিযোগ উঠেছে প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে।  
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো। প্রতীকী ছবি: স্টার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো। প্রতীকী ছবি: স্টার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত প্রক্টরের পদত্যাগ চাওয়ায় এক শিক্ষকের ব্যক্তিগত নথি তলবের অভিযোগ উঠেছে প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে।  

এ ধরনের কাজকে 'নিয়মবর্হিভূত' দাবি করে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. তানজীমউদ্দিন খান।

তার দাবি, প্রক্টরের পদত্যাগ চাওয়ায় তার ব্যক্তিগত নথি অফিসের কর্মকর্তার মাধ্যমে তলবের করিয়েছেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী।

তবে প্রক্টরের দাবি, তার অফিসের একজন কর্মকর্তা তানজীমউদ্দিন খানের বাবার নাম জানতে বিভাগে গিয়েছেন। ব্যক্তিগত নথি চাওয়ার বিষয় সম্পর্কে তিনি অবগত ছিলেন না।  

গতকাল সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেন তানজীমউদ্দিনসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কয়েকজন শিক্ষক।

স্মারকলিপিতে দায়িত্ব পালনে 'ব্যর্থ' উল্লেখ করে প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করা হয়।

শিক্ষকের ব্যক্তিগত তথ্য তলব করা নিয়মবর্হিভূত উল্লেখ করে অধ্যাপক ড. তানজীমউদ্দিন খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কোন ক্ষমতাবলে প্রক্টর একজন শিক্ষকের ব্যক্তিগত ফাইল তল্লাশি করতে তার কর্মচারীকে আমাদের বিভাগের অফিসে পাঠিয়েছে? তাকে এই এখতিয়ার কে দিলো?'

এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, 'গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দিয়ে আসি সাড়ে ১২টা-১টা নাগাদ। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টা নাগাদ প্রক্টর অফিস থেকে দুজন কর্মচারী আমার বিভাগের অফিসে গিয়ে আমার ব্যক্তিগত ফাইল তল্লাশি করে! আমার স্থায়ী ঠিকানাসহ যাবতীয় তথ্য নিয়ে যায়! আমার যাবতীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে আছে! সেই তথ্য যোগাড় করতে বিভাগে কেন কর্মচারী গেল আমার ব্যক্তিগত ফাইলের জন্য? কোনো তথ্য দরকার হলে তো রেজিস্ট্রার ভবনই যথেষ্ট!'

তার দাবি, 'ঘটনা এখানেই থেমে থাকেনি! সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় আমার স্থায়ী ঠিকানায় একজন এসআই গিয়ে জানায় যে উনি আমার সম্পর্কে ভেরিফিকেশনের জন্য গেছেন। ওখান থেকে আমাকে ফোন দেওয়া হলে পুলিশ কর্মকর্তা জানান, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের একটা তালিকা করা হচ্ছে। সেজন্য গিয়েছেন! আবার জানালেন, "উনার বস বলতে পারবেন আসল কারণটা কী"?' 

এ বিষয়ে ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তিনি (তানজীমউদ্দিন খান) কী বলছেন, সেটা তার বিষয়। এখন তিনি যা দাবি করছেন, তা আমার মতে অবান্তর, অপ্রাসঙ্গিক এবং অতিরঞ্জিত। আমাকে না জানিয়ে আমার অফিসের কর্মকর্তা শুধু তার (তানজীম) বাবার নাম জানতে বিভাগে গিয়েছে, বিষয়টি আমার জানা ছিল না।'

তবে, প্রক্টরকে না জানিয়ে বিভাগে যাওয়ার বিষয়টি সত্য নয় বলে দাবি করছেন কর্মকর্তা রেজাউল।

জানতে চাইলে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রক্টর স্যার আমাকে না বললে আমার যাওয়ার ক্ষমতা আছে? স্যার বলেছেন বিধায় আমি বিভাগে গিয়েছি। এরপর তথ্য না পেয়ে চলে আসি।'

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago