মাদককে কেন্দ্র করে জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের ২ পক্ষের মারামারি

শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল। ছবি: সংগৃহীত

মাদককে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের ২ পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হলের মূল ভবনের ছাদে এই ঘটনা ঘটে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, গতকাল মধ্যরাতে হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেনের অনুসারী রাকিবুল হাসান রাহিসহ আরও কয়েকজন ছাত্রলীগকর্মী ছাদে মাদক সেবন করছিলেন।

একই সময়ে ছাদে হল ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন রানার অনুসারী আসাদুজ্জামান ফরিদও তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে সেখানে মাদক সেবনের জন্য যান। এ সময় ফরিদ রাহি ও তার বন্ধুদের সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। কিন্তু রাহি যেতে না চাইলে কথা কাটাকাটির এ পর্যায়ে রাহিকে থাপ্পড় মারেন ফরিদ। তখন রাহি বিষয়টি তার 'বড় ভাইদের' জানালে তারা ছাদে গিয়ে রাহিকে থাপ্পড় মারার কারণ জানতে চান। এ সময় তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে ২ পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়।

এই মারামারিতে হল ছাত্রলীগের ২ পক্ষের ৭০-৮০ জন নেতা-কর্মী অংশ নেন বলেও জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাদের বক্তব্য, খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য হল ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন রানা সেখানে যান। তার উপস্থিতিতেও কিছুক্ষণ ২ পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি চলতে থাকে। পরে ২ পক্ষের নেতারা হলের অতিথি কক্ষে বসে বিষয়টি সমাধান করেন।

এ ব্যাপারে হল ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন রানা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রাতে ছাদে উচ্চ স্বরে গান গাওয়াকে কেন্দ্র করে জুনিয়রদের সঙ্গে সিনিয়র কিছু শিক্ষার্থীর কথা কাটাকাটি হয়। পরে আমরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি।'

একই কথা বলেন, হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেন।

সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ আবদুর রহিম এ ব্যাপারে বলেন, 'এমন একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার খবর পেয়েছি। কেউ এ বিষয়ে অভিযোগ দিলে আমরা তদন্তের সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবো।'

Comments

The Daily Star  | English

Is the govt backing the wrongdoers?

BNP acting Chairman Tarique Rahman yesterday questioned whether the government is being lenient on the killers of a scrap trader in front of Mitford hospital due to what he said its silent support for such incidents of mob violence.

7h ago