খিলগাঁওয়ের বদলে যাওয়ার গল্প

খিলগাঁও
শান্ত গাঁও এখন কর্মচঞ্চল অভিজাত এলাকা। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

রাজধানীর খিলগাঁওয়ের নামের সঙ্গেই মিশে আছে গ্রামের সুবাস। এক সময়ের শান্ত গাঁও বা গ্রাম এখন কর্মচঞ্চল অভিজাত এলাকা।

এখানে এমন রাস্তার দেখা মেলে যেখানে ৩০০-রও বেশি খাবারের দোকান। যেখানে ভোজনরসিকদের টেবিল পেতে লাইনে দাঁড়াতে হয়। যেখানে কফির দাম ৮০ থেকে ৩০০ টাকা।

এসব ক্যাফে-রেস্তোরাঁর ব্যস্ততা আশেপাশের মহল্লা, আবাসিক এলাকা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে।

পাঠকের মনে হতে পারে—খাবারের ব্যবসার এমন জমাট পরিবেশ তো সাধারণত গুলশান, উত্তরা বা ধানমন্ডির অভিজাত এলাকায় দেখা যায়।

কিন্তু এটা খিলগাঁওয়ের শহীদ বাকি সড়কের বাস্তবতা। শহরের পূর্বাঞ্চলের এই এলাকাটি এখন অন্যসব মহল্লার তুলনায় একটু বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

ঢাকা কলেজের বাংলা সাহিত্যের শিক্ষার্থী ইকতেদার উদ্দিন আকিবের চোখে খিলগাঁওয়ের এমন বদলে যাওয়ার গল্প জানা যায়।

খিলগাঁও
ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

১৯৮৯ সাল থেকে আকিব ও তার পরিবার খিলগাঁওয়ে থাকছেন। তারা এই মহল্লার দ্রুত বদলে যাওয়ার সাক্ষী। সেসব দিনে তিনি কেএফসির মতো রেস্তোরাঁয় খাওয়ার কথা কল্পনাও করতে পারতেন না। তবে এখন তিনি আত্মীয়দের নিয়ে মাঝে-মধ্যে নিজের এলাকায় নামি-দামি কফি শপ বা রেস্তোরাঁয় যান।

আকিব পড়ালেখার পাশাপাশি টিউশনি ও বাবার ব্যবসায় সহযোগিতা করেন। তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন উঠে আসে।

তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এসেছিলেন খিলগাঁওয়ের পিৎজাবার্গে। কফিতে চুমুক দেওয়ার ফাঁকে এর ফটো কর্নারে কয়েকটি ছবি তোলেন। আগ্রহীদের জন্য জায়গাটি চমৎকারভাবে সাজানো হয়েছে।

'বন্ধুদের সঙ্গে প্রায়ই এখানে আসি,' জানিয়ে ২৩ বছর বয়সী এই শিক্ষার্থী বলেন, 'পিৎজার সঙ্গে এই সাদা সস আমার খুব পছন্দের। নানি পিৎজা খুব পছন্দ করেন। তিনি এখানে বারবার আসতে চান।'

তার ভাষ্য, ছোট পরিসরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আড্ডার পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়ার জন্য খিলগাঁওয়ের রেস্তোরাঁগুলো জনপ্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।

রাজধানীতে প্রায় ২৫ হাজার রেস্তোরাঁ আছে। গত এক দশকে গড়ে উঠেছে কয়েক হাজার রেস্তোরাঁ।

খিলগাঁও
ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির (বিআরওএ) তথ্য অনুসারে, দেশে চার লাখ ৮১ হাজার রেস্তোরাঁয় প্রায় ৩০ লাখ মানুষ কাজ করেন। প্রায় দুই কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে এই খাতের সঙ্গে যুক্ত।

খিলগাঁওয়ে এ ধরনের ব্যবসায় আট থেকে নয় হাজার লোকের কাজের সুযোগ হয়েছে।

পিৎজাবার্গের খিলগাঁও শাখার প্রধান ক্যাশিয়ার আবদুল্লাহ আল নোমান জানান, এখানে ১০০ জনের বসার ব্যবস্থা আছে। বন্ধুদের আড্ডা, জন্মদিন বা বাগদান ও পারিবারিক মিলনমেলাসহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। একটি মহল্লায় এমন বসার জায়গা থাকলে তা সেই এলাকার সামাজিক গুরুত্ব বাড়িয়ে দেয়।

খিলগাঁওয়ে খাবারের ব্যবসায় এমন সমৃদ্ধির আরেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ সেখানে খণ্ডকালীন কর্মী পাওয়া যায়। তারা মূলত শিক্ষার্থী। অনেকে পড়ালেখার খরচ চালাতে খণ্ডকালীন চাকরি হিসেবে কফি শপ ও রেস্তোরাঁয় কাজ নেন।

এমনই কয়েকজন কর্মী হলেন ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সের (ইউআইটিএস) শিক্ষার্থী রিফাত রহমান গাজী, তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থী অজন্তা ইমা ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের রিফাজ রশিদ।

তারা 'ওয়েটস্টাফ' হিসেবে কাজ করেন। রিফাজ রশিদ তাদের প্রধান। দুই বছর ধরে পিৎজাবার্গে কাজ করা রিফাত রহমান গাজী বলেন, 'পড়াশোনার পাশাপাশি কাজের সুযোগটা দারুণ। চমৎকার অভিজ্ঞতা।'

এখানকার আপন কফি হাউস, ডোমিনোজ পিৎজা, কাচ্চি ভাই, কাবাব স্টেশন, বিএফসি, কেএফসি, সিক্রেট রেসিপি, হার্ফি, সিয়েলোর মতো জনপ্রিয় রেস্তোরাঁগুলো ভোজনরসিকদের আকর্ষণীয় কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

খিলগাঁও
ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

২০০৬ সালে শুরু হওয়া আপন কফি হাউস খিলগাঁওয়ের নতুন রূপের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বারিস্তা মাহতাব উদ্দিন বলেন, 'আপন কফি হাউস এই এলাকায় রেস্তোরাঁ ব্যবসার মানদণ্ড নির্ধারণ করে দিয়েছে। অন্যান্য অনেক প্রতিষ্ঠান আমাদের অনুসরণ করেছে। কিন্তু, প্রতিযোগিতা অনেক। কেউ ভালো করেছেন, আবার কেউ ক্রমবর্ধমান পরিচালন খরচ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন।'

এখানকার রেস্তোরাঁগুলোয় পাশ্চাত্য খাবারের পাশাপাশি দেশি খাবারের পরিবেশনাও আছে।

খিলগাঁও ফ্লাইওভার থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে হরভাঙ্গার মোড় 'বিরিয়ানি পাড়া' নামে পরিচিত। এর মধ্যে 'মুক্তা বিরিয়ানি ঘর'র আছে ৩০ বছরের ইতিহাস।

'মুক্তা বিরিয়ানি ঘর'র মালিক সাইদুর রহমান বাপ্পী বলেন, 'গরুর চাপ, ভাজা মাংস, মুরগির বিরিয়ানি ও বিশেষভাবে রান্না করা গরুর মাংস ও ছাগলের কলিজা দিয়ে ব্যবসা শুরু করি।'

'পরে কাচ্চি বিরিয়ানি, তেহারি ও মাটন খিচুড়ি যোগ করি। ঋতু-ভিত্তিক বিশেষ খাবার থাকে। যেমন শীতে কবুতর ও হাঁসের তরকারি হয়।'

খিলগাঁওয়ে রেস্তোরাঁ বা ক্যাফেই একমাত্র ব্যবসা নয়। পোশাকের-সাজসজ্জার দোকানও আছে। এগুলো খিলগাঁওয়ে ব্যবসায় বৈচিত্র্য এনেছে।

জনপ্রিয় পোশাকের দোকান 'সেইলর'র খিলগাঁও শাখায় বিক্রয় ব্যবস্থাপক বরিশাল থেকে আসা বিবিএ শিক্ষার্থী আহমেদ সুমন বলেন, 'শীত চলে যাওয়ায় গরমের কাপড় তুলছি।'

'ক্রেতারা সাধারণত জ্যাকেট, হুডি ও অন্যান্য শীতের পোশাক কেনেন। গরমের পোশাক এসেছে। শীতের কাপড় সরিয়ে ফেলছি। আশা করছি, গরমের পোশাকের বিক্রি বাড়বে।'

শুধু কেনাকাটা ও খাবারের জন্য নয় নাগরিক ব্যস্ততা থেকে খনিকের মুক্তি বা পড়ালেখার ফাঁকে এমন সামাজিক মেলবন্ধন খিলগাঁওকে আকর্ষণীয় জায়গায় পরিণত করেছে।

খিলগাঁও
ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

প্রায় ৩০-৩৫ বছর ধরে খিলগাঁওয়ে থাকা ইসলাম ব্রাদার্সের মালিক মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, 'এই মহল্লা জমজমাট হয়ে উঠার পেছনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো অবদান আছে। বর্তমানে এখানে অন্তত ১৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে।

'এই এলাকার বিকাশ নিজের চোখে দেখেছি' উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'প্রায় ১০ বছরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার মাধ্যমে এখানে প্রকৃত অর্থে বদলে যাওয়া শুরু হয়। একসময় এখানে কয়েকটি স্কুল ও কলেজ ছিল। পরিচিতি ছিল শান্ত আবাসিক এলাকা হিসেবে। এখন ব্যস্ততম এলাকা।'

খিলগাঁওয়ে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকায় শিক্ষার্থীর সংখ্যাও অনেক।

হেরলান, ফ্লোরমার ও মুন'স গ্যালারির মতো বৈশ্বিক প্রসাধনী ব্র্যান্ডগুলো এখানে আউটলেট খুলেছে।

শান্তিনগরের হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তাহিরা বিনতে জামান প্রায়ই বন্ধুদের সঙ্গে হেরলানে যান। তিনি কেনাকাটার পাশাপাশি কফি শপে সময় কাটাতে পছন্দ করেন।

তার ভাষ্য, 'কেনাকাটার পাশাপাশি আড্ডার এরকম জায়গা পেলে খুব ভালো লাগে। এখানে কোনো বিশেষ কারণে আসিনি, এসেছি সময় কাটাতে।'

মুন'স গ্যালারির এক কর্মী লামিয়া জান্নাত বলেন, 'ক্রেতারা এখানে দামি পণ্য কিনতে আসেন।'

খিলগাঁও চৌধুরীপাড়ার গিয়াস ভিলার মালিক ও স্থানীয় বাসিন্দা মো. গিয়াসউদ্দিন স্মৃতিচারণ করে বলেন, 'মহল্লায় এক সময় সিমেন্ট, ওষুধ, মুদি দোকান, মোটরসাইকেলের ওয়ার্কশপ, করাত কল ও রাস্তার পাশে ছোট ছোট চায়ের দোকান ছিল।'

'এখানে একসময় মূলত পোশাক শ্রমিক ও নিম্নপদস্থ কর্মচারীরা থাকতেন। খিলগাঁও থেকে মালিবাগ-রামপুরা হয়ে বাড্ডা পর্যন্ত বিস্তৃত রাস্তার দুই পাশে অনেক পোশাক কারখানায় ছিল। ড্রাগন গার্মেন্টস ও এক্সএল গার্মেন্টসের নাম তখন সবাই জানতেন।'

এখানে ১৮-তলার ড্রাগন গার্মেন্টসে কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ করতেন। সময়ের পরিক্রমায় সেসব কারখানা গাজীপুর, সাভার, আশুলিয়া, মাওনা, কোনাবাড়ি, ময়মনসিংহ, ভুলতা, রূপগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের শিল্পাঞ্চলে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

নামকরা আবাসন ব্যবসায়ীরা এখানে বিনিয়োগ করায় মহল্লাটির চেহারা পাল্টে গিয়েছেন। একসময়ের 'গাঁও' এখন ধনী-বিত্তবানদের আবাসস্থল।

জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক আম্পায়ার প্যানেলের প্রধান রকিবুল হাসান প্রায় ২০ বছর আগে এই এলাকায় অ্যাপার্টমেন্ট কিনেন।

তিনি বলেন, 'খিলগাঁওয়ের আজকের উন্নয়ন আমাকে বিস্মিত করেছে। এখন আর পরিবার, বন্ধু ও প্রিয়জনদের সঙ্গে কফি খেতে অন্য কোথায় যাওয়ার দরকার হয় না। তবে খিলগাঁওয়ের দ্রুত উন্নয়ন সংকটও তৈরি করেছে। এখানে বাড়ি ভাড়া ও ব্যবসা পরিচালন খরচ বেড়েই চলছে।'

খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ীদের বাড়তি ভাড়া ও নিরাপত্তা খরচ হিসেবে অতিরিক্ত টাকা গুণতে হয়। অনেকে খরচ কমাতে ব্যবসা অন্য জায়গায় সরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছেন।

সম্প্রতি 'করিম লাইভ বেকারি'তে বদলে যাওয়া 'করিম বুকস অ্যান্ড স্টেশনারি'র মালিক মো. আব্দুস সালাম বলেন, '৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই এলাকায় আছি। ব্যবসার গতিপ্রকৃতি বদলে গেছে। বাড়ি ভাড়া বেড়েছে। অনেকে ব্যবসা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য আমাদেরকেও ব্যবসা বদলাতে হয়েছে।'

বাড়ি ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় অনেকে ব্যবসা ছাড়ছেন। অনেকে ব্যবসা বদলাচ্ছেন। যেমন, খিলগাঁওয়ের প্রধান রাস্তার কাছে একটি পুরোনো বইয়ের দোকান এখন বেকারি হয়ে গেছে। সময় ও গ্রাহক-চাহিদার সঙ্গে তাল মেলাতে এমনটি হচ্ছে।

এক সময় ফয়জুর রহমান স্কুল ছিল এমন একটি ভবন দেখিয়ে আব্দুস সালাম বলেন, 'আগে মালিকরা স্কুল থেকে তিন লাখ টাকা ভাড়া পেলেও এখন প্রতি ফ্লোর থেকে চার লাখ টাকা ভাড়া পাচ্ছেন।'

সিয়েলো রুফটপ, কুদ্দোস ফান, এলিসিয়ান ক্যাফে, স্কিনোলজিক লেজার অ্যান্ড অ্যাস্থেটিক সেন্টার ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো স্কুলের জায়গা নিয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাও ব্যবসায় নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করেছে। মূল্যস্ফীতি থেকে মুক্তির লক্ষণ তেমন দেখা যাচ্ছে না।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে—খাদ্যপণ্য, বিশেষ করে চাল ও সবজির কারণে চলতি বছরের জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ থেকে কমে নয় দশমিক ৯৪ শতাংশে নেমেছে।

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, 'খিলগাঁও এলাকার রেস্তোরাঁগুলো আমাদের সংগঠনের সদস্য নয়। তারা নিজেদের মতো করে কাজ করছেন।'

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়া বলেন, 'ঢাকার কোনো রেস্তোরাঁ-বহুল এলাকায় আলাদাভাবে তদারকি করা হয় না। তবে আমাদের গ্রিন জোন প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা আছে। এর অধীনে রেস্তোরাঁ কর্মীদের খাদ্য সুরক্ষা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেবে। তাদেরকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।'

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আক্তার খান বলেন, 'ভোক্তা স্বার্থ যাতে ক্ষুণ্ণ না হয় সেজন্য নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।'

আগেও খিলগাঁওয়ে অভিযান হয়েছে। কেউ অভিযোগ দিলে অভিযান চালানো হয় বলে জানান তিনি।

'অভিযানের পর রেস্তোরাঁগুলোকে জরিমানা করা হয়। ফলোআপের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করা হয়।'

গ্রাহকরা যাতে সহজে ও নিরাপদে লেনদেন করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে অনেক ব্যাংকের শাখা-এটিএম বুথ করা হয়েছে। ঢাকা ব্যাংকের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, 'এই এলাকায় কয়েকটি ব্যাংকের প্রায় ১৩টি শাখা আছে। যেসব ব্যাংকের শাখা নেই, তাদের এটিএম বুথ আছে।'

শান্ত আবাসিক এলাকা থেকে খিলগাঁওয়ের সমৃদ্ধ ব্যবসায়িক কেন্দ্রে পরিণত হওয়া ঢাকা শহরের গতিশীল পরিবর্তনের প্রমাণ। শিক্ষার্থী, পেশাজীবী ও ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সঙ্গে তাল মিলিয়ে খিলগাঁও বাণিজ্য, শিক্ষা ও বিনোদনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh vs Vietnam RMG exports

Can Bangladesh fend off Vietnam in RMG race?

Bangladesh's limited trade diplomacy, coupled with its slower shift towards value-added production, could allow Vietnam to surpass it in global rankings

10h ago