গুগল সিইও সুন্দর পিচাই যেসব স্মার্টফোন ব্যবহার করেন
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া ডেভলপার সস্মেলনে পিক্সেল ফোল্ড, পিক্সেল ট্যাবলেট ও পিক্সেল ৭এ—এ ৩টি ডিভাইস উন্মুক্ত করেছে গুগল। তবে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ ছিল পিক্সেল ফোল্ড নিয়ে।
স্যামসাং, অপোর পর গুগলও ফোল্ডিং বা ভাঁজ করা ফোন এসেছে বাজারে। পিক্সেল ফোল্ড কেমন বাজার পাবে, তা অবশ্য বলার সময় এখনো আসেনি।
ডেভলপার সম্মেলনের পর গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই প্রযুক্তি বিষয়ক অন্যতম শীর্ষ ইউটিউব চ্যানেল 'মিস্টারহুইজদ্যবস'-কে এক স্বাক্ষাৎকার দেন। সেখানে তিনি জানান, কোন ফোন ব্যবহার করেন, গুগল পিক্সেল ফোনের ভবিষ্যত কী এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন।
ওই স্বাক্ষাৎকারে সুন্দর পিচাই জানান, তিনি গুগল পিক্সেল ৭ প্রো ব্যবহার করেন। এ ছাড়া স্যামসাং গ্যালাক্সি এবং আইফোনও ব্যবহার করেন।
'... এটা পিক্সেল ৭ প্রো। তবে আমি স্যামসাং গ্যালাক্সি এবং আইফোনও ব্যবহার করি।'
পিক্সেল ফোল্ড সম্পর্কে পিচাই
কোন উদ্দেশ্য সামনে রেখে গুগল ফোল্ডিং ফোন বাজারে আনা হয়েছে, এই প্রশ্নের জবাবে গুগলের সিইও বলেন, এখানে কী কী করা সম্ভব, তা যাচাই করে দেখছি আমরা।
'দিনশেষে এগুলো কম্পিউটিং ডিভাইস এবং আপনি এগুলোর সাহায্যে অনেক কিছু করতে চাচ্ছেন। উৎপাদনশীলতা বাড়ানো কিংবা বিনোদনের প্রয়োজনে আপনি এগুলো ব্যবহার করছেন। যে ডিভাইসটি মানুষ বহন করছে, তাতে কীভাবে আরও সুযোগ-সুবিধা যোগ করা যায়, সেই চেষ্টাই করছি আমরা।'
পিক্সেল ফোল্ডের ডিজাইন সম্পর্কে তিনি বলেন, 'ফোল্ডেবল ফোনগুলো বড় এবং ভারী। যদিও আমরা যে ফোনটি তৈরি করেছি, সেটিকে বেশ পাতলা করে তৈরি করা হয়েছে। সামনের স্ক্রিনটি দেখলে সাধারণ ফোনের মতোই মনে হবে। আমি একাধিক অ্যাপে কাজ করার সুবিধা পছন্দ করি। তাছাড়া ডিভাইসটিকে ট্যাব হিসেবে কাজ করা যায়, এটা আমার অনেক পছন্দ।'
পিচাইয়ের মতে, বর্তমানে ফোল্ডেবল ফোনের তাদেরই প্রয়োজন, যারা কিছুটা ভবিষ্যতের ছোঁয়া পেতে চান। এই ডিভাইসগুলোর সামর্থ্য অনেক। তবে এখনো এখানে অনেক কিছু করার বাকি আছে।
স্মার্টফোনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
গুগলের প্রধান নির্বাহী বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই স্মার্টফোনকে অরও অনেক সাবলীল ও যেগাযোগে দক্ষ করে তুলবে, যা এখনো নেই।
'আমরা এই সমস্ত কিছুর প্রাথমিক পর্যায়ে আছি, তবে ন্যাচারাল ল্যাংগুয়েজের সাহায্যে বা আপনি কোনো কিছুর দিকে তাকালে আপনার ফোন সেটি দেখতে ও বুঝতে পারবে.. কম্পিউটিং সেদিকে যাবে,' তিনি বলেন।
পিচাই আরও জানান, মানুষ সব সময় কম্পিউটিংয়ের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। তবে কম্পিউটারকে প্রকৃতপক্ষে মানুষের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার উপযোগী করে তুলবে এআই। এ ছাড়া যেভাবে আমরা কোনো কিছু পর্যবেক্ষণ করি বা যেভাবে কথা বলি কিংবা কম্পিউটারের ইন্টারফেসের সঙ্গে মানুষের মিথস্ক্রিয়া তৈরিতে ভূমিকা রাখবে এআই।
অগমেন্টেট রিয়েলিটি চশমা এবং স্মার্টওয়াচের মতো প্রযুক্তিগুলো ফোনের আনুষঙ্গিক হিসেবে ব্যবহৃত হবে বলে মনে করেন সুন্দর পিচাই।
সূত্র: মিস্টারহুইজদ্যবস
গ্রন্থনা: আহমেদ হিমেল
Comments