ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য সেরা ১২ কম্পিউটার

ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য সেরা ১২ কম্পিউটার
ছবি: সংগৃহীত

কন্টেন্টের প্রাচুর্যের এই যুগে ভিডিও এডিটিং হয়ে উঠেছে একটি চাহিদাসম্পন্ন কাজ। তবে ভালো মানের ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য প্রয়োজন একটি শক্তিশালী কম্পিউটার। ভিডিও কন্টেন্টের চাহিদা অনেকাংশেই নির্ভর করে এর গুণমানের ওপর। সেক্ষেত্রে, একটি শক্তিশালী কম্পিউটার থাকলে ফোর-কে কিংবা এইট-কে'র মতো উচ্চ-রেজুলেশনের ভিডিওগুলো নিশ্চিন্তে এডিটিং করা যায়। 

একটি ভালোমানের ভিডিও এডিটিং কম্পিউটারে প্রয়োজন একটি হাই-এন্ড গ্রাফিক্স কার্ড, একটি শক্তিশালী প্রসেসর, পর্যাপ্ত র‌্যাম, হাই-ডেফিনিশন মনিটরসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ। তাই ভালো একটি ভিডিও এডিটিং কম্পিউটার কেনার আগে এগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া প্রয়োজন।

প্রসেসিং পাওয়ার

ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য প্রয়োজন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ প্রসেসিং পাওয়ার। তাই একটি ভালো মানের মাল্টি-কোর প্রসেসরসহ কম্পিউটার বাছাই করুন৷ ইন্টেল আই৭ বা এএমডি রাইজেন ৭ প্রসেসরগুলো সাধারণত যথেষ্ট। তবে আপনি যদি একটি আই৯ বা রাইজেন ৯ প্রসেসর নেন, সে ক্ষেত্রে আপনার কাজ আরও সহজ হয়ে যাবে।

র‌্যাম 

ভিডিও এডিটিংয়ে র‌্যাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিডিও এডিটিংয়ের জন্যে ন্যূনতম ১৬জিবি র‌্যাম হলে ভালো হয়। তবে আরও মসৃণভাবে এডিটিং চালিয়ে যেতে ৩২জিবি বা তারও বেশি জিবি নিতে পারেন। বিশেষ করে ফোর-কে বা উচ্চ-রেজোলিউশন ভিডিওগুলোর ক্ষেত্রে বেশি র‌্যাম লাগে।

স্টোরেজ 

ভিডিও ফাইলগুলো সাধারণত অনেক বড় হয়। তাই পর্যাপ্ত স্টোরেজসহ একটি কম্পিউটার কিনুন। সেরা ভিডিও এডিটিং পিসিগুলোতে সাধারণত দ্রুতগতির এসএসডি বা সলিড-স্টেট ড্রাইভ স্টোরেজ থাকে। এসএসডি কার্ডের মাধ্যমে আপনার কম্পিউটার হয়ে উঠে আরও দ্রুত। এইচডিডি বা হার্ড ড্রাইভগুলো অত্যন্ত ধীর গতির হয়ে থাকে। তাই শুধু এইচডিডি থাকলে সেই পিসিগুলো না কেনাই ভালো। তাই এসএসডি বিল্ডসহ একটি পিসি খুঁজুন। তবে প্রয়োজন হলে এক্সটার্নাল হার্ড ড্রাইভও যোগ করে নিতে পারেন।

গ্রাফিক্স কার্ড 

একটি ভালো মানের ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স কার্ড বা জিপিইউ ভিডিও এডিটিংয়ের কর্মক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করতে পারে। বিশেষ করে রেন্ডারিং এবং ইফেক্টগুলোর ক্ষেত্রে। এনভিডিয়া বা এএমডি-এর জিপিইউগুলো দেখতে পারেন। এদের, এনভিডিয়া জিফোর্স আরটিএক্স সিরিজ বা এএমডি রেডন আরএক্স সিরিজের মডেলগুলো বেশ ভালো।

ডিসপ্লে 

সঠিক রঙের উপস্থাপনা এবং স্পষ্টতার জন্য একটি উচ্চ-মানের ডিসপ্লে গুরুত্বপূর্ণ। একটি উচ্চ-রেজুলেশনের ফোর-কে মনিটর কেনার কথা বিবেচনায় রাখুন। এ ছাড়া ভালো রঙ দেখার জন্য উচ্চ কালার গ্যামুট এবং কালার ক্যালিব্রেশন অপশন রয়েছে এরকম মনিটরগুলো কিনুন। 

কানেক্টিভিটি 

নিশ্চিত করুন যে কম্পিউটারে বাহ্যিক ডিভাইস যেমন, ক্যামেরা, স্টোরেজ ড্রাইভ এবং পেরিফেরাল সংযোগ করার জন্য পর্যাপ্ত পোর্ট রয়েছে। এ ক্ষেত্রে, ইউএসবি ৩.০ বা থান্ডারবোল্ট পোর্টগুলো দ্রুত ডেটা স্থানান্তরের জন্য উপযোগী।

সফ্টওয়্যার কম্প্যাটিবিলিটি 

আপনি যে ভিডিও এডিটিং সফ্টওয়্যারটি ব্যবহারের পরিকল্পনা করছেন সেটির সিস্টেমের রিকোয়ারমেন্টসগুলো আগে দেখুন। তারপর সেই অনুযায়ী কম্পিউটারটি বাছাই করুন। 

বাজেট 

আপনার বাজেটের পরিসর নির্ধারণ করুন, কারণ ভিডিও-এডিটিং কম্পিউটারগুলো ভিন্ন ভিন্ন দামের হয়ে থাকে। আপনার প্রয়োজন এবং বাজেটের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে কিনুন।

আপনি কত রেজুলেশন কিংবা কত জটিল ভিডিও এডিটিং করছেন তার ওপর নির্ভর করে আপনার কম্পিউটারের স্পেকস কেমন হওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে, আপনার চাহিদা অনুযায়ী কম্পিউটারটি বাছাই করে নিতে পারেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক ভিডিও এডিটিংয়ের জন্যে সেরা কয়েকটি প্রি-বিল্ট বা ব্র্যান্ড পিসি সম্পর্কে। 

মাইক্রোসফ্ট সারফেস স্টুডিও ২

ভিডিও-এডিটিংয়ের জন্য সেরা উইন্ডোজ কম্পিউটারগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। আপনি যদি ম্যাকের থেকে উইন্ডোজ বেশি পছন্দ করেন, তাহলে এটি আপনার জন্যে সেরা একটি বিকল্প। এতে রয়েছে একটি শক্তিশালী গ্রাফিক্স কার্ড এবং উচ্চ-রেজুলেশনের ২৮ ইঞ্চি টাচ-সেন্সেটিভ ডিসপ্লে। তবে, অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী পণ্যের তুলনায় এর সিপিইউ পুরোনো। এ ছাড়া এর দামও অত্যন্ত চড়া। 

স্পেসিফিকেশন

  • সিপিইউ: ইন্টেল কোর আই৭-৭৮২০এইচকিউ 
  • গ্রাফিক্স: এনভিডিয়া জিফোর্স জিটিএক্স ১০৬০ ৬ জিবি-জিটিএক্স ১০৭০ ৮ জিবি
  • র‌্যাম: ১৬-৩২জিবি 
  • স্টোরেজ: ১-২ টেরাবাইট এসএসডি
  • স্ক্রিন: ২৮-ইঞ্চি, ৪৫০০x৩০০০ রেজুলেশনের আইপিএস ডিসপ্লে

ম্যাক স্টুডিও

ম্যাক স্টুডিও অ্যাপলের একটি অত্যন্ত শক্তিশালী কম্পিউটার। ম্যাক স্টুডিওটি পেশাদার ভিডিও এডিটরদের জন্য নকশা করা হয়েছে। যা ভারী ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য উপযুক্ত। এতে এইট-কে এর মতো ভারী ভিডিও পর্যন্ত এডিট করা যায়। চলার সময় এতে প্রায় কোনো শব্দই হয় না। এ ছাড়া, এতে অনেকগুলো পোর্ট থাকায় বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়।

আপনার যদি অত্যন্ত ভারী ভিডিও এডিট করা লাগে কিংবা কাজে অনেক বেশি চাপ থাকে সে ক্ষেত্রে, বিনা দ্বিধায় ম্যাক স্টুডিও ব্যবহার করতে পারেন। 

তবে এটির দাম অনেক বেশি। এ ছাড়া এটি আপনি আপগ্রেড করতে পারবেন না। এর আরেকটি খারাপ দিক হচ্ছে, এর সঙ্গে আপনি আলাদাভাবে কী-বোর্ড, মনিটর, মাউস পাবেন না। আপনাকে আলাদা করে কিনতে হবে। তবে এটি একদিক দিয়ে সুবিধাজনক, যে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুসারে সেগুলো কিনতে পারছেন। 

স্পেসিফিকেশন

  • সিপিইউ: এম১ ম্যাক্স ১০-কোর / এম১ আল্ট্রা ২০-কোর
  • গ্রাফিক্স: ২৪-কোর জিপিইউ / ৪৮-কোর জিপিইউ
  • র‌্যাম: ৩২-১২৮ জিবি 
  • স্টোরেজ: ৫১২ জিবি, ৮ টেরাবাইট এসএসডি 

এইচপি ওমেন ৩০এল

এই গেমিং পিসিটি ভিডিও এডিটিংয়ের জন্যেও দুর্দান্ত। গেমিংয়ের সময় কম্পিউটার দীর্ঘ সময়ের জন্য প্রচুর শক্তি ব্যবহার করে। ঠিক যেমন ভিডিও প্রক্রিয়াকরণ এবং রেন্ডারিংয়ের সময় করে। সে জন্যে গেমিং পিসিগুলো ভিডিও এডিটিংয়ে খুব ভালো কাজ করে। এ ছাড়া এর কম্পোনেন্টগুলোও অদলবদল করা যায়।

তবে, এর কুলিং ফ্যান একটি হওয়ার কারণে এর কুলিং অপশন সীমিত। ভারী কাজের সময় সিপিইউ ফ্যানটি বেশ আওয়াজ করে। 

স্পেসিফিকেশন

  • সিপিইউ: ইন্টেল কোর আই৭-১০৭০০কে 
  • গ্রাফিক্স: আরটিএক্স ২০৮০ সুপার 
  • র‌্যাম: ১৬জিবি 
  • স্টোরেজ: ১ টেরাবাইট এসএসডি 

আইম্যাক (২৪-ইঞ্চি, এম১)

এতে রয়েছে একটি ২৪-ইঞ্চি ৪ দশমিক ৫কে রেটিনা ডিসপ্লে। এর স্ক্রিন কোয়ালিটি চমৎকার। অ্যাপল কম্পিউটারের আরেকটি সুবিধা হচ্ছে এতে আপনি ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য পেয়ে যাবেন ব্যবহারবান্ধব প্রোগ্রাম, ফাইনাল কাট-প্রো। তবে, এম১ আইম্যাকে পোর্টের সংখ্যা কম এবং আলাদা জিপিইউ নেই। এ ছাড়া, এটি ১৬ জিবি র‌্যামের মধ্যে সীমাবদ্ধ।

স্পেসিফিকেশন

  • সিপিইউ: ৮-কোরসহ অ্যাপল এম১ চিপ 
  • গ্রাফিক্স: ইন্টিগ্রেটেড ৭-কোর–৮-কোর জিপিইউ 
  • র‌্যাম: ৮জিবি–১৬জিবি ইউনিফাইড মেমরি
  • স্টোরেজ: ২ টেরাবাইট পর্যন্ত

ভেলোসিটি মাইক্রো র‌্যাপ্টর জেড৯৫

আপনি যদি কম্পোনেন্ট এবং কর্মক্ষমতা নিয়ে আপস না করেন, তাহলে ভেলোসিটি মাইক্রো র‌্যাপ্টর জেড৯৫ হবে একটি স্মার্ট পছন্দ। এটি একটি ক্লাসিক টাওয়ার-স্টাইল ডেস্কটপ। তবে এর দাম তুলনামূলক বেশি। এর বিল্ড অত্যন্ত মজবুত এবং নকশাটিও চমৎকার।

স্পেসিফিকেশন

  • সিপিইউ: রাইজেন ৭৯০০এক্স 
  • গ্রাফিক্স: ইভিজিএ আরটিএক্স ৩০৮০ 
  • র‌্যাম: ৩২জিবি ডিডিআর৫ 

অ্যাপল ম্যাক মিনি (এম১, ২০২০)

ম্যাক মিনি একটি ছোট পিসি। এর ছোট আকারের কারণে একে কম শক্তিশালী মনে হতে পারে। তবে বাজারের ভালো মানের কোনো ফোর-কে মনিটরের সঙ্গে এটিকে সংযুক্ত করে দিলে, এটি হয়ে উঠবে ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য অন্যতম সেরা একটি পিসি। এর ছোট আকারের কারণে আপনি এটি সহজেই ব্যাগে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারবেন। অর্থাৎ, আপনি ডেস্কটপেই ল্যাপটপের বহনযোগ্যতা পেয়ে যাচ্ছেন। 

এতে আপনি আইম্যাকের ২৪-ইঞ্চি মডেলের অনুরূপ পারফরম্যান্স পাবেন। তবে বিল্ট-ইন ডিসপ্লে পাবেন না। যার কারণে এর দাম তুলনামূকভাবে কম। তবে আপনি এটি আপগ্রেড করতে পারবেন না।

স্পেসিফিকেশন

  • সিপিইউ: ৮-কোরসহ অ্যাপল এম১ চিপ
  • গ্রাফিক্স: ইন্টিগ্রেটেড ৮-কোর
  • র‌্যাম: ৮জিবি, ৬৪জিবি ইউনিফাইড মেমরি 
  • স্টোরেজ: ২৫৬জিবি, ২ টেরাবাইট এসএসডি 

লিনোভো লিজিওন টাওয়ার ৫আই 

গেমিং পিসির আরেকটি চমৎকার উদাহরণ হচ্ছে লিনোভো লিজিওন টাওয়ার ৫আই। যারা গেমিংয়ের পাশাপাশি ভিডিও এডিটিং করতে চান। তাদের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত পিসি। 

স্পেসিফিকেশন

  • সিপিইউ: দশম জেনারেশন ইন্টেল কোর আই৭ 
  • গ্রাফিক্স: এনভিডিয়া জিফোর্স আরটিএক্স ২০৭০ সুপার
  • র‌্যাম: ১৬জিবি ডিডিআর৪ ২৯৩৩মেগাহার্জ 
  • স্টোরেজ: ২ টেরাবাইট এইচডিডি + ১ টেরাবাইট এসএসডি 

লিনোভো ইয়োগা এআইও ৭ 

লিনোভো ইয়োগা এআইও ৭-এর দাম অনুযায়ী বেশ ভালো স্পেকস দিচ্ছে। এর ২৭-ইঞ্চির ফোর-কে ডিসপ্লেটি পোর্ট্রেট মোডে ঘোরানো যায়।

স্পেসিফিকেশন

  • সিপিইউ: এএমডি রাইজেন ৭ ৪৮০০এইচজি 
  • গ্রাফিক্স: এনভিডিয়া জিফোর্স আরটিএক্স ২০৬০ 
  • র‌্যাম: ৩২ জিবি ডিডিআর৪ 
  • স্টোরেজ: ১ টেরাবাইট পর্যন্ত এম.২ এসএসডি + ২ টেরাবাইট এইচডিডি 
  • স্ক্রিন: ২৭ ইঞ্চি ফোর-কে ইউএইচডি (৩৮৪০ x ২১৬০) আইপিএস।

এলিয়েনওয়্যার অরোরা রাইজেন এডিশন আর১০

এলিয়েনওয়্যার ব্র্যান্ডের মালিক হচ্ছে ডেল। এলিয়েনওয়্যার অরোরা রাইজেন এডিশন আর১০ বাজারের সেরা এএমডি-ভিত্তিক গেমিং ডেস্কটপগুলোর মধ্যে একটি। ব্যবহারকারীদের চাহিদামতো এর সিস্টেমটি কাস্টমাইজ করে নেওয়ারও সুযোগ রয়েছে। এটি অত্যন্ত শক্তিশালী টপ-এন্ড স্পেসিফিকেশনযুক্ত একটি পিসি। তবে এটি খুবই ব্যয়বহুল।

স্পেসিফিকেশন

  • সিপিইউ: এএমডি রাইজেন ৯ ৫৯৫০এক্স 
  • গ্রাফিক্স: এনভিডিয়া জিফোর্স আরটিএক্স ৩০৮০ 
  • র‌্যাম: ১২৮জিবি ৩২০০মেগাহার্জ ডিডিআর৪
  • স্টোরেজ: ২ টেরাবাইট এসএসডি + ২ টেরাবাইট এইচডিডি 

এইচপি এনভি ৩৪

এইচপি এনভি ৩৪ হলো ভিডিও এডিটরদের জন্য একটি দুর্দান্ত অল-ইন-ওয়ান কম্পিউটার এবং আইম্যাকের একটি চমৎকার বিকল্প৷ এতে রয়েছে একটি শার্প ফাইভ-কে আল্ট্রাওয়াইড ডিসপ্লে। ১৬ মেগাপিক্সেলের ওয়েবক্যাম এবং অনেকগুলো পোর্ট। 

স্পেসিফিকেশন

  • সিপিইউ: ইন্টেল কোর আই৭-১১৭০০
  • গ্রাফিক্স: এনভিডিয়া আরটিএক্স ৩০৬০
  • র‌্যাম: ১৬জিবি ডিডিআর৪-২৬৬৬ (১২৮জিবি পর্যন্ত আপগ্রেড করা যাবে) 
  • স্টোরেজ: ১ টেরাবাইট এসএসডি

ডেল প্রিসিশন ৩৬৫০

পেশাদার এডিটরদের জন্য ডেল প্রিসিশন ৩৬৫০ সেরা ভিডিও এডিটিং কম্পিউটারগুলোর মধ্যে একটি। এতে রয়েছে ৪টি অভ্যন্তরীণ সাটা বে। তবে এটি বাজেট পিসি নয়। অর্থাৎ, দাম বেশ চড়া।

স্পেসিফিকেশন

  • সিপিইউ: ইন্টেল কোর আই৯ ১১৯০০কে ৩.৫গিগাহার্জ (৫.৩ গিগাহার্জ টার্বো), ৮ কোর 
  • গ্রাফিক্স: এনভিডিয়া কোয়াড্র আরটিএক্স ৪০০০ (৮ জিবি)
  • র‌্যাম: ৬৪ জিবি ডিডিআর৪ ইউডিআইএমএম (২x৩২)
  • স্টোরেজ: ২ টেরাবাইট এসএসডি + ৮ টেরাবাইট এইচডিডি 

আসুস পিবি৬০জি মিনি বিজনেস পিসি

আসুস পিবি৬০জি মিনি বিজনেস পিসিতে রয়েছে, অ্যাডোবি প্রিমিয়ার প্রো বা আপনার পছন্দের ভিডিও এডিটর চালানোর জন্য একটি উপযুক্ত কনফিগারেশন। এটি এর দামের মধ্যে বেশ ভালো সুবিধা প্রদান করে। এতে প্রচুর কানেক্টিভিটি এবং পোর্টের অপশন রয়েছে। যেমন, আপনি এর সঙ্গে ৩টি ফোর-কে মনিটর সংযুক্ত করতে পারবেন। তবে এতে কোনো থান্ডারবোল্ট কানেকশন নেই।

স্পেসিফিকেশন

সিপিইউ: ইন্টেল কোর আই৯-৯৯০০টি, ৮ কোর 
গ্রাফিক্স: এনভিডিয়া কোয়াড্র পি৬২০ (২জিবি ভির‌্যাম)
• র‌্যাম: ১৬জিবি (৬৪জিবি পর্যন্ত বাড়ানো যাবে) 
স্টোরেজ: ১ টেরাবাইট এইচডিডি (১ টেরাবাইট এসএসডি + ২ টেরাবাইট এইচডিডি বিল্ড করা যাবে) 

তথ্যসূত্র: টেকরেডার, ক্রিয়েটিভব্লগ

Comments