ওকলা স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স

বাংলাদেশে সবচেয়ে দ্রুতগতির মোবাইল ইন্টারনেট আইফোনে

বিভিন্ন মডেলের আইফোন। ছবি: সংগৃহীত
বিভিন্ন মডেলের আইফোন। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট গতির তথ্য বিশ্লেষণী প্রতিষ্ঠান ওকলার গ্লোবাল ইনডেক্স পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে অ্যাপলের আইফোন বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গতিসম্পন্ন ডিভাইস।

মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওকলার স্পিডটেস্ট অ্যাপের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ইন্টারনেটের গড় গতির পরিমাপের এক তুলনামূলক চিত্র পাওয়া যায় 'স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স' নামের নিরীক্ষায়।

এই সূচক অনুযায়ী, বাংলাদেশে সবচেয়ে দ্রুত গতির ইন্টারনেট উপভোগ করে থাকেন আইফোন ব্যবহারকারীরা।

চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্য এই নিরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

প্রতিবেদন মতে, বাংলাদেশে অ্যাপলের ডিভাইসগুলো অন্যান্য প্রতিষ্ঠিত ফোনের তুলনায় স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে আছে। ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ে গতির ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় ডিভাইস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্স। এই ডিভাইসের গড় ডাউনলোড স্পিড ৪৫ দশমিক ৯৩ এমবিপিএস।

এর পরের দুটি অবস্থানেও আছে আইফোনের দুই মডেল—১৩ ও ১২। ডিভাইস দুইটির গড় ডাউনলোড স্পিড যথাক্রমে ৪৪ দশমিক ৭১ ও ৪৩ দশমিক ৮৪ এমবিপিএস।

মিডিয়ান বা মধ্যমা হচ্ছে একটি ডেটা সেটের ঠিক মাঝের মান, যা ওই ডেটা সেটের অর্ধেক মানের চেয়ে বড় এবং বাকী অর্ধেকের চেয়ে ছোট। যেমন ১ থেকে ১১ যদি একটি ডেটা সেট হয়, তাহলে ৬ হচ্ছে এর মিডিয়ান নম্বর।

ওকলার তথ্য অনুযায়ী, অ্যাপলের ডিভাইসগুলোর মিডিয়ান ডাউনলোড স্পিড ৩৪ দশমিক ৮০ এমবিপিএস, যা অন্যান্য প্রতিষ্ঠিত স্মার্টফোন ব্র্যান্ডের চেয়ে বেশি।

আইফোন ১৫
চীনের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে আইফোন ১৫ প্রো। ছবি: রয়টার্স

ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ে গতির দিক থেকে বাংলাদেশে অ্যাপলের পরের অবস্থানে আছে ওয়ানপ্লাস, স্যামসাং, শাওমি ও রিয়েলমি।

গবেষণায় দেখা গেছে, ওয়ান প্লাসের মিডিয়ান ডাউনলোড স্পিড ৩০ দশমিক ০৭ এমবিপিএস, স্যামসাংয়ের ১৮ দশমিক ৬৮ এমবিপিএস।

উভয় প্রতিষ্ঠানের তৈরি ফোনই আইফোনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে পিছিয়ে আছে।

শাওমি ও রিয়েলমি ফোনের মিডিয়ান ডাউনলোড স্পিড যথাক্রমে ১৬ দশমিক ১০ ও ১৫ দশমিক ৯৭ এমবিপিএস।

আইফোনের সব মডেলের তুলনামূলক চিত্র। ছবি: সংগৃহীত
আইফোনের সব মডেলের তুলনামূলক চিত্র। ছবি: সংগৃহীত

ওকলার ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, অন্তত ৩০০ ডিভাইসের ডেটা নিয়ে এই নিরীক্ষা করা হয়। তবে এর সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হল, শুধু যেসব ব্যবহারকারী তাদের ফোন দিয়ে স্পিডটেস্ট অ্যাপটি ব্যবহার করছেন, বা করেছেন, তারাই এই সমীক্ষার আওতায় থাকেন।

তবে প্রতিষ্ঠানটির দাবি, হাজার হাজার ব্যবহারকারী অসংখ্যবার তাদের অ্যাপ ব্যবহার করে নিজ নিজ ডিভাইসের ডাউনলোড স্পিড যাচাই করেন, যার ফলে সমীক্ষার ফল বেশ বাস্তবসম্মত।

ইংরেজী থেকে ভাবানুবাদ করেছেন আহমেদ হিমেল

 

Comments

The Daily Star  | English

Leading univs withdrawing from cluster system

Session delays, irregularities, and lack of central planning cited as reasons

11h ago