যেসব কারণে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ আপডেটেড রাখা উচিত

সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপসগুলো নিয়মিত আপডেট করা উচিত। এমনকি যদি এটি ঝামেলার মনে হয় তাও। 
যেসব কারণে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলো আপডেটেড রাখা উচিত
ছবি: রয়টার্স

সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলো কয়েকদিন পর পরই নতুন নতুন আপডেট নিয়ে আসে। অ্যাপ ক্রমাগত আপডেট করা বেশ বিরক্তিকর লাগতে পারে। প্রশ্ন জাগতে পারে, এই আপডেটগুলোর আদৌ কি কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে?

উত্তর, হ্যাঁ। আপনার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপসগুলো নিয়মিত আপডেট করা উচিত। এমনকি যদি এটি ঝামেলার মনে হয় তাও। 

গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ফিচার এবং নিরাপত্তা সম্পর্কিত আপডেট এই অ্যাপ আপডেটের মাধ্যমে আসে। কেন আপনার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলো আপডেট রাখা উচিত, সেই কারণগুলো নিয়েই আজকের আলোচনা।

সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপস আপডেটেড রাখার সুবিধা

বিভিন্ন কারণেই আপনার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ আপডেটেড রাখা উচিত। প্রথমত, নিয়মিত আপডেট একটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপের নিরাপত্তা বাড়াতে সাহায্য করে। আপডেটগুলো বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকির বিরুদ্ধে কাজ করে। 

এ ছাড়া, হ্যাকারদের প্রয়োগ করা নতুন নতুন পদ্ধতিগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা যোগ করে। 

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, হাইভ সোশ্যালের ঘটনাটি বলা যায়। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তাদের প্ল্যাটফর্মের বেশ কিছু নিরাপত্তা ত্রুটি প্রকাশিত হয়। যার জন্য, ডেভেলপাররা সাইটটি নামিয়ে ফেলতে বাধ্য হয়। পরবর্তীতে ত্রুটিগুলো সমাধান করতে তারা এটি আপডেট করে।

মাঝে মাঝে অ্যাপে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যার কারণে এটি মসৃণভাবে চলতে পারে না। তাই নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপস আপডেটের আরেকটি সুবিধা হলো এতে বিভিন্ন বাগ এবং গ্লিচ দূর হয়। বাগ এবং গ্লিচ ঠিক হলে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ মসৃণভাবে চলে।

অন্যদিকে, আপডেটগুলো অ্যাপের নকশা এবং কর্মক্ষমতা উন্নত করতেও সাহায্য করে। যা অ্যাপ ব্যবহারের সময় আরও ভালোভাবে কাজ করে। 

আপডেটের মাধ্যমে একটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ তার ইউজার ইন্টারফেস বা ইউআই পরিবর্তন করতে পারে। যেমনটি আমরা ২০২২ সালের মে মাসে ইনস্টাগ্রামের ভিজ্যুয়াল রিফ্রেশের ক্ষেত্রে দেখেছি। 

এ ছাড়া ব্যবহারকারীর সুবিধার জন্য বিরক্তিকর মেন্যু বার বা বিভিন্ন অপশন আরও সুবিধাজনক জায়গায় নেওয়া হতে পারে।
 
এ ছাড়া, অ্যাপগুলো আপডেটের মাধ্যমে নতুন নতুন ফিচার বা বৈশিষ্ট্যও যুক্ত করে থাকে। যেমন, টিকটকের সিরিজ ফিচার বা স্ন্যাপচ্যাটের সাউন্ডস ফিচার। এই ফিচারগুলো নিয়মিত আপডেটের মাধ্যমে পাওয়া যায়। অ্যাপের পুরানো সংস্করণে অনেক সময়ই নতুন ফিচার অ্যাক্সেসের সুযোগ থাকে না। কোনো ফিচার যোগ কিংবা বিয়োগ, দুটিই আসে আপডেটের মাধ্যমে।

অন্যান্য সাইট এবং অ্যাপের সঙ্গে সমন্বয় বৃদ্ধি করতেও আপডেট প্রয়োজনীয়। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মজুড়ে নির্বিঘ্নে কনটেন্ট শেয়ার করা যায় এই আপডেটগুলোর মাধ্যমে। একটি উদাহরণ হলো, ২০২১ সালে টিকটক শপিফাই-এর সঙ্গে অংশীদারত্বে একটি ইন-অ্যাপ শপিং ট্যাব পরীক্ষা করে। যার মাধ্যমে শপিফাই-এর বিক্রেতারা তাদের পণ্য সরাসরি টিকটকে বিক্রি করতে পারে। বিক্রেতারা তাদের টিকটকগুলোয় পণ্যের লিংক যোগ করে। যাতে করে একজন ক্রেতা টিকটক থেকে নির্বিঘ্নে কেনাকাটা করতে পারে। যা পরবর্তীতে একটি স্থায়ী ফিচার হয়ে ওঠে।
 
আপনার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলো আপডেটেড রাখুন। অন্যথায়, আপনার অ্যাপ ব্যবহারের অভিজ্ঞতা খারাপ হতে পারে এবং ডেটাও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। অনেকগুলো আপডেট এড়িয়ে গেলে এক সময় আপনার অ্যাপটি আর কাজ নাও করতে পারে। তাই শেষ পর্যন্ত এটি আপডেট করতেই হয়। তাই যখন কোনো নতুন আপডেট আসে, তখনই সেই আপডেট করে ফেলা উত্তম।

তথ্যসূত্র: এমইউও 
গ্রন্থনা: আহমেদ বিন কাদের অনি

 

Comments