মেটার গাইডলাইন: ফেসবুক রিলসে বেশি ভিউ পেতে যা করবেন

বর্তমানে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের কনটেন্টগুলো ক্রস প্লাটফর্মে সাপোর্ট করে। যার কারণে ইনস্টাগ্রামের রিলসও আপনি ফেসবুকে দেখাতে পারবেন। যা আপনার কনটেন্ট এনগেজমেন্ট বৃদ্ধির জন্য দুর্দান্ত।
মেটার গাইডলাইন: ফেসবুক রিলসে বেশি ভিউ পেতে যা করবেন

বেশ অনেকদিন হলো ফেসবুক তাদের প্লাটফর্মে রিলস নামে একটি ভিডিও ফরম্যাট নিয়ে এসেছে। বিনোদনমূলক এই নতুন ভিডিও ফরম্যাটটি খুবই সংক্ষিপ্ত আকারের হয়ে থাকে। কনটেন্ট নির্মাতা এবং ব্যাবহারকারী উভয়ের কাছেই এটি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। 

রিলস ব্যবহার করে কনটেন্ট নির্মাতারা তাদের দর্শকদের কাছে খুব দ্রুত বার্তা বা কনটেন্ট পৌঁছে দিতে পারছেন। শুধু বিদ্যমান ফলোয়ারদের সঙ্গেই নয়, নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার জন্যও রিলস আজকাল অত্যন্ত কার্যকর একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে। 

বর্তমানে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের কনটেন্টগুলো ক্রস প্লাটফর্মে সাপোর্ট করে। যার কারণে ইনস্টাগ্রামের রিলসও আপনি ফেসবুকে দেখাতে পারবেন। যা আপনার কনটেন্ট এনগেজমেন্ট বৃদ্ধির জন্য দুর্দান্ত।

চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক, ফেসবুক রিলের সর্বোচ্চ ব্যবহারের কয়েকটি উপায় সম্পর্কে–

  • চলমান কোনো জনপ্রিয় মিউজিক বা ট্রেন্ড খুঁজে বের করুন। মানুষ যেসব বিষয়ের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত বা সংযুক্ত অনুভব করেন, সেগুলো দেখার প্রতি তাদের আগ্রহ বেশি থাকে। তাই ট্রেন্ডিং মিউজিকের সঙ্গে ট্রেন্ডিং বিষয়গুলো যুক্ত করে পোস্ট করুন। তবে অবশ্যই সেখানে আপনার নিজস্ব কোনো আইডিয়া দিয়ে নতুন কিছু তৈরির চেষ্টা করবেন। 
  • একেক অ্যাকাউন্টের ফলোয়ার বেস একেকরকম। তাই শুধু ট্রেন্ড অনুসরণ করলেই চলবে না। আপনার কনটেন্ট সবাই দেখবে কি না তা আগে নিশ্চিত করুন। সে জন্য আপনার দর্শক কারা তা আগে বুঝুন এবং তাদের জন্য কোন ধরনের মিউজিক বা কন্টেন্ট কাজ করবে তা খুঁজে বের করুন।
  • ক্যাপশন ব্যবহার করুন। আকর্ষণীয় ক্যাপশন সহজে দর্শকের দৃষ্টি কাড়ে। এ ছাড়া ক্যাপশন আপনার রিলের বিষয়বস্তু কি সেটিও দর্শককে বুঝতে সাহায্য করবে। তবে ভুয়া এবং বিভ্রান্তিকর ক্যাপশন ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। এটি আপনাকে প্রাথমিকভাবে কিছু ভিউ এনে দিলেও, দীর্ঘমেয়াদে আপনার সুনাম নষ্ট করবে।
  • ভিডিওতে প্রাসঙ্গিক হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করুন। হ্যাশট্যাগ কি-ওয়ার্ড সার্চের ক্ষেত্রে বেশ সহায়ক। তাই আপনার রিলটি কী কী বিষয় নিয়ে তৈরি তা দেখুন। তারপর সেগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ট্যাগ ব্যবহার করুন।
  • রিল খুব বেশি দীর্ঘ করবেন না। মানুষ রিলস দেখেই মূলত এদের দৈর্ঘ্য অনেক কম হওয়ার কারণে। এটিই এর মূল বিশেষত্ব। তাই এটিকে দীর্ঘায়িত না করে দ্রুত মূল পয়েন্টে যান এবং কন্টেন্টের মূল বিষয়টি ব্যাখ্যা করুন। চেষ্টা করবেন ৭ থেকে ১০ সেকেন্ডের রিলস বেশি পোস্ট করার জন্যে।
  • মানুষ আপনার কথা মনে রাখার তুলনায় তারা কেমন অনুভব করেছে তা বেশি মনে রাখে। তাই, এমন কিছু করুন যা তাদের মধ্যে এক ধরনের আবেগ বা অনুভূতি সৃষ্টি করবে।
  • আপনার আশেপাশে ভালো লাইটিং বা আলোর ব্যবস্থা করুন। ভিডিওতে পর্যাপ্ত নান্দনিকতা আছে কি না তা নিশ্চিত করুন। কারণ মানুষ সুন্দর জিনিস দেখতে পছন্দ করে। 
  • রিলের কন্টেন্টের বিষয়বস্তুতে সময়ে সময়ে পরিবর্তন আনুন। বৈচিত্র্যপূর্ণ কনটেন্ট একঘেয়েমি দূর করার পাশাপাশি একটি বিস্তৃত পরিসরের দর্শক ধরতে সাহায্য করবে। 
  • রিল প্রকাশের আগে কিছু বিশ্বস্ত এবং পরিচিত মানুষকে সেটি প্রথমে দেখিয়ে নিন। তাদের প্রতিক্রিয়া নিন। এতে করে রিল প্রকাশের পূর্বে এর মান সম্পর্কে একটি ধারণা পাবেন। 
  • ফুল স্ক্রিন ব্যবহার করুন। রিলের ভিডিওগুলো ৯:১৬ অনুপাতের হয়ে থাকে। তাই পুরো স্ক্রিন নিয়ে যেন আপনার কনটেন্ট দেখা যায় তা নিশ্চিত করুন।
  • উচ্চ রেজোলিউশনের ভিডিও ব্যবহার করুন। কম রেজোলিউশনের ভিডিওর প্রতি মানুষের আগ্রহ কম থাকে।
  • একটি আকর্ষণীয়, নজরকাড়া থাম্বনেইল ব্যবহার করুন। বেশিরভাগ মানুষই থাম্বনেইলে আকর্ষিত হয়ে কনটেন্টে ক্লিক করেন। তাই আপনার কনটেন্টে এনগেজমেন্ট বাড়ানোর জন্য এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর একটি।
  • বর্তমানে কনটেন্ট এনগেজমেন্ট বৃদ্ধির সবচেয়ে দ্রুততম এবং সরাসরি উপায় হয়ে উঠেছে রিলস। এমনকি যদি রিলের পরে দীর্ঘ আকারের কোনো কনটেন্ট বা যেকোনো ছবি পোস্ট করা হয়। তাহলে দেখা যায় রিলের পরে অবস্থানের কারণে সেগুলোরও এনগেজমেন্ট বেড়ে যাচ্ছে। পুরাতন ফলোয়ারদের এনগেজমেন্ট বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন ফলোয়ার অর্জনেরও একটি ভালো উপায় হয়ে উঠেছে রিলস। তাই একজন কনটেন্ট নির্মাতা হিসেবে এর পূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত করুন। 

তথ্যসূত্র: মেটা 

 

Comments