২০ হাজারের মধ্যে সেরা ৫ ওয়্যারলেস ইয়ারফোন
বেশির ভাগ মানুষের কাছেই ইয়ারফোন হয়ে উঠেছে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কর্মস্থলে যাওয়া-আসার সময়, বাসের জন্য অপেক্ষার সময় বা দীর্ঘ ভ্রমণে যাওয়ার পথে একজোড়া ওয়্যারলেস ইয়ারফোন থাকলে সময় কাটানো সহজ হয়ে যায়।
আপনার বাজেট যদি হয় ২০ হাজার টাকার মধ্যে হয় তাহলে পেতে পারেন বাজারের ভালো মানের ৫টি ভিন্ন মডেলের ওয়্যারলেস ইয়ারফোন। তবে স্টক অনুসারে এসবের দাম কমবেশি হতে পারে।
সনি ডব্লিউএফ১০০০এক্সএম৩
বাজারে সনির ডব্লিউএফ১০০০এক্সএম৪ মডেল আসার পরেও দীর্ঘস্থায়ী নির্ভরযোগ্যতা এবং আকর্ষণীয় সাউন্ড কোয়ালিটির জন্য এক্সএম৩ এখনো জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। আসল ওয়্যারলেস ইয়ারফোন ঠিক যেমন হয়, ভালো পাস এবং মিড ফ্রিকোয়েন্সি এই ইয়ারফোনটিও প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য বেশ উপযুক্ত।
এ ছাড়া উন্নত মানের নয়েজ ক্যান্সেলেশন, অ্যাডাপ্টিভ সাউন্ড এবং অটো প্লে পজ অপশনের পাশাপাশি গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং অ্যামাজন অ্যালেক্সার সাপোর্ট রয়েছে সনির এই মডেলের ইয়ারফোনে, যা ২ পাশে অবস্থিত টাচ কন্ট্রোলের মাধ্যমে অ্যাক্টিভেট করা যায়। ভালো সাউন্ড কোয়ালিটির পেতে চাইলে এটি থাকতে পারে তালিকার শীর্ষে।
মূল্য: ১৭ হাজার থেকে ১৯ হাজার টাকার মধ্যে।
বিটস পাওয়ারবিটস প্রো
অ্যাপল ডক্টর ড্রে কর্তৃক বিটস অর্জনের পরেই এই মডেলের ইয়ারফোন বাজারে আসে, যা চলমান অবস্থায় ব্যবহার উপযোগী পাওয়ারবিটস প্রো দ্বারা তৈরি করা হয়। অ্যাপলের এইচওয়ান চিপ সংযুক্ত এই রান-অব-দ্য-মিল ওয়ার্কআউট ইয়ারফোনটি বাক্স খোলার সঙ্গে সঙ্গেই আইফোনের সঙ্গে কানেক্ট হয়ে যায়, এটি অ্যান্ড্রয়েডের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। সাউন্ডের দিক থেকে এই ইয়ারফোনটি পুরো গানের শৃঙ্খলা ঠিক রেখে ভালো বেস হিসেবে কাজ করে। বিটসের অন্যতম অসুবিধাকে মাথায় রেখে এই ইয়ারফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে আইপিএক্স৪ ঘামরোধক। স্থানিক অডিও সাপোর্টের পাশাপাশি অডিও সাপোর্ট, সিরি এবং কল নিয়ন্ত্রণের জন্য বাটন রয়েছে এতে। কানের ওপরের ডিজাইনের স্নাগ ফিট এবং বাড়তি সাপোর্টের জন্য ঝাঁকুনি দিলেও ইয়ারফোন খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
মূল্য: ১৮ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে।
অ্যাপল এয়ারপডস প্রো (ফার্স্ট জেনারেশন)
ফর্ম ফ্যাক্টর, সহজে পকেটে বহনযোগ্য এবং কেইস ডিজাইন ইত্যাদির জন্য ওয়্যারলেস ইয়ারফোন ডিজাইনের ক্ষেত্রে এয়ারপডস প্রো একটি বেঞ্চমার্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাজারের অন্যান্য ইয়ারফোনে থাকা সব ফিচার রয়েছে এয়ারপডস প্রো-তে। ইয়ারফোনের ভালো সাউন্ড কোয়ালিটি ছাড়াও এটির মূল আকর্ষণ আসলে ফিচার। এই ইয়ারফোনে রয়েছে ইন্ডাস্ট্রি-স্ট্যান্ডার্ড নয়েজ ক্যান্সেলিং টেকনোলজি এবং অ্যাডাপটিভ ট্রান্সপারেন্সি মোড, যা ইয়ারফোনে বিল্ট-ইন ৬টি মাইকের সাহায্যে বাইরে থেকে শব্দ শোনা যায়। আকারে ছোট ও ওজনে হালকা হওয়ায় এই ইয়ারফোনটি প্রতিদিন ব্যবহার উপযোগী। ২০২২ সালে বাজারে এয়ারপডস প্রো-এর দ্বিতীয় প্রজন্ম আসার পরে প্রথম প্রজন্মের এয়ারপডের দামে ছাড় পাওয়া যাচ্ছে। তাই একই ফিচার ও কোয়ালিটির জন্য প্রথম প্রজন্মের এয়ারপডস প্রো কেনা যেতে পারে।
মূল্য: ১৯ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে।
সেনেহাইজার সিএক্স প্লাস
সাশ্রয়ী মূল্যে চমৎকার সাউন্ড কোয়ালিটি এবং নয়েজ ক্যান্সেলেশন সুবিধা সম্বলিত সিএক্স প্লাস নির্ভরযোগ্য ইয়ারফোন হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। যদিও অ্যাপ ইন্টারফেসে টাচ কন্ট্রোলের অভাব রয়েছে, তবে এটি সহজে ব্যবহার করা যায় এবং দ্রুত ব্যবহারকারীর ইকিউ প্রোফাইল তৈরি করে। আইপিএক্স৪ গ্রেড এবং কানের ডগা পর্যন্ত বিস্তৃত পরিসরের ডিজাইনের জন্য এটি ওয়ার্কআউটের জন্য বেশ নির্ভরযোগ্য। ব্যাটারির আয়ু সীমিত হলেও চার্জিং কেস এক্ষেত্রে কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে।
মূল্য: ১৭ হাজার থেকে ১৮ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে।
স্যামসাং গ্যালাক্সি বাডস-টু
অ্যাপল-ফ্রেন্ডলি অপশন হিসেবে অ্যান্ড্রয়েড ইকোসিস্টেমও তালিকার যোগ্য দাবিদার। প্রথম প্রজন্মের তুলনায় গ্যালাক্সি বাডস টু বেশ উন্নতি করেছে যা স্থানীয়ভাবে 'বিনস' নামে পরিচিত। দৈনন্দিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাডস টু বেশ উপযোগী। এটি যেকোনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সঙ্গে নির্বিঘ্নে কানেক্ট হতে পারে এবং অ্যাপের সাহায্যে ইকিউ নিয়ন্ত্রণ করে। এটির বিল্ট ইনে নয়েজ ক্যান্সেলিং অপশন থাকলেও সেটি খুব একটা সুবিধার নয়। তবে এতে রয়েছে উন্নত সাউন্ড কোয়ালিটি, পাম্পড বাস ও ক্লিয়ার মিড যার কোনোটিই সাব-বাস আড়াল করে না।
মূল্য: ১৭ হাজার ৫০০ থেকে ১৯ হাজার টাকার মধ্যে।
অনুবাদ করেছেন আসরিফা সুলতানা রিয়া
Comments