গুগল, মাইক্রোসফট, আমাজনসহ প্রযুক্তি খাতে কার কত কর্মী ছাঁটাই

গুগল, মাইক্রোসফট, আমাজনসহ প্রযুক্তি খাতে কার কত কর্মী ছাঁটাই
ছবি: রায়টার্স

মহামারি পরবর্তী বছরগুলোতে গুগল, মাইক্রোসফট, আমাজন, টুইটার ও মেটাসহ বিশ্বের বড় বড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলোতে হাজারও কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে। 

গত মাসের শেষের দিকে গুগল তার কর্মীবাহিনী থেকে ১২ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। মাইক্রোসফটও চলতি মাসের প্রথমদিন জানিয়েছে, তারা ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করছে। অন্যদিকে, আমাজনও প্রায় ১৮ হাজারেরও বেশি কর্মী ছাঁটাইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছে। 

করোনা মহামারির পর থেকে প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর কর্মী ছাঁটাই ট্র্যাক করছে লেঅফস ডট এফওয়াইআই নামের একটি স্টার্টআপ। তাদের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২২ সালে মোট ১ হাজার ৪২টি প্রযুক্তি সংস্থা মোট ১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৬৬ জন কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। 

এখন পর্যন্ত তাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালের প্রথম মাসেই ২৭২টি প্রযুক্তি সংস্থা মোট ৮৬ হাজার ৮৮২ জন কর্মীকে ছাঁটাই করে ফেলেছে।

কেনো এই ছাঁটাই?

বড় বড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর কর্মী ছাঁটাইয়ের নানা কারণ থাকতে পারে। তবে সাধারণ কিছু কারণের মধ্যে রয়েছে, তাদের সংস্থার পুনর্গঠন, খরচ কমানো, নতুন কোনো ক্ষেত্র উন্মোচনের জন্য অর্থ কিংবা সম্পদের পুনঃবণ্ট, কোম্পানির কৌশল পরিবর্তন, মূল্যস্ফীতি, অর্থনৈতিক মন্দা ও করোনা মহামারির প্রভাবের মতো ঘটনা।

তবে এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, ছাঁটাই একটি জটিল সিদ্ধান্ত এবং সেটি যদি হয় এত বড় পরিসরের তাহলে বিষয়টি আরও জটিল। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি সংস্থার জন্যে নির্দিষ্ট কোনো পরিস্থিতি, কিংবা ভিন্ন কোনো কারণের ফলে বিষয়টি ঘটতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনবিসি-এর তথ্যমতে অনিশ্চিত অর্থনৈতিক অবস্থার মুখে প্রযুক্তি শিল্পে এই ছাঁটাই ঘটছে। এছাড়া বলা হচ্ছে, ডিজিটাল বিজ্ঞাপনদাতাদের ব্যয় হ্রাস এবং ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির কারণে ভোক্তাদের ব্যয় নিয়ন্ত্রণও এখানে প্রভাব ফেলছে।

তারা বলছে, সাধারণত ছাঁটাই এমন একটি সময়ে আসে যখন প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়, মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সুদের হার উচ্চ থাকে এবং আসছে বছরগুলোয় সম্ভাব্য মন্দার আশঙ্কা থাকে। 

ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের তথ্য অনুসারে, বেশিরভাগ টেক সিইও বলেছেন, মহামারি চলাকালীন তাদের ব্যবসা সর্বকালের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছিল। যেটা ছিল ২০২০ এবং ২০২১-এর দিকে। সেই কারণে চাহিদার কথা বিবেচনা করে, তখন তারা হাজার হাজার নতুন কর্মচারী নিয়োগ করেছিল।

এখন গুগল সিইও সুন্দর পিচাই, মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলা কিংবা অ্যামাজনের সিইও অ্যান্ডি জ্যাসি, যেই হোন না কেন; প্রত্যেকেই ছাঁটাইয়ের মূল কারণ হিসেবে এক সময়ে 'অতিরিক্ত নিয়োগের' দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছেন।

প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর সিইওরা ছাঁটাইয়ের সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিজেরা নিয়েছেন এবং তারা স্বীকার করছেন দোষটি তাদেরই ছিল।  

এই সিইওরা একসঙ্গে এই বিশাল সংখ্যক মানুষের চাকরি হারানোর পেছনে আরেকটি কারণ হিসেবে বৃহদাকার অর্থনৈতিক অবস্থাকেও দায়ী করছেন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন সংস্থা কত কর্মী ছাঁটাই করেছে, এ ব্যাপারে সংস্থাগুলো কী বলছে এবং এর প্রভাব সম্পর্কে।

১৮ হাজার কর্মী ছাঁটাই আমাজনে

গত মাসের শুরুতে, অ্যামাজনের সিইও অ্যান্ডি জ্যাসি বলেন, যে সংস্থাটি প্রাথমিকভাবে এর মানবসম্পদ এবং স্টোর বিভাগগুলোতে ১৮ হাজারেরও বেশি কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছে।  

করোনা মহামারি চলাকালীন সময়ে অ্যামাজন প্রচুর সংখ্যক কর্মী নিয়োগ দেয়। ২০১৯ সালের শেষের দিকে অ্যামাজনের বিশ্বব্যাপী কর্মী সংখ্যা ছিল ৭ লাখ ৯৮ হাজার। যা ২০২১ সালের শেষ নাগাদ বেড়ে ১৬ লাখেরও বেশি হয়।

১২ হাজার কর্মী ছাঁটাই আলফাবেট ইনকরপোরেশনের 

আলফাবেট ইনকরপোরেটেডের মালিকানাধীন গুগল গতমাসের শেষের দিকে জানিয়েছে, তারা তাদের কর্মী থেকে ১২ হাজার জনকে ছাঁটাই করবে।

গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই কোম্পানিটির কর্মীদের কাছে পাঠানো একটি ই-মেইলে বলেছেন, সংস্থাটি অবিলম্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছাঁটাই শুরু করবে। তিনি বলেন, অন্যান্য দেশে প্রক্রিয়াটি, 'স্থানীয় আইন এবং রীতিনীতির কারণে বেশি সময় নেবে।'

১১ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে মেটা

নভেম্বরে ফেসবুকের প্যারেন্ট অর্গানাইজেশন মেটা কর্মী ছাঁটাইয়ের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘোষণাটি দেয়। সংস্থাটি বলেছে, এটি তার মোট কর্মী সংখ্যার ১৩ শতাংশকে বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। যার পরিমাণ দাঁড়ায় ১১ হাজারেরও বেশি।

২০২২ সালের শেষের দিকে মেটার কিছু হতাশাজনক দিকনির্দেশনা কোম্পানিটির মার্কেট ক্যাপের এক-চতুর্থাংশ মুছে ফেলে। যা ২০১৬-এর পর থেকে তাদের স্টক মার্কেটকে সর্বনিম্নে নিয়ে যায়। 

মহামারি চলাকালীন প্রায় ৬০ শতাংশ কর্মী বৃদ্ধির পরে এই ছাঁটাই আসে। এ ছাড়া টিকটকের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের থেকে প্রতিযোগিতা, অনলাইন বিজ্ঞাপন খরচে ব্যাপক মন্দা এবং অ্যাপলের আইওএস পরিবর্তনের মতো চ্যালেঞ্জগুলোর কারণে এর ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মাইক্রোসফটে ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই 

সফ্টওয়্যার নির্মাতা মাইক্রোসফট তাদের আয় বৃদ্ধির ধীরগতির কারণে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে ১০ হাজার কর্মী কমাতে যাচ্ছে। 

মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলা, গত বুধবার কোম্পানিটির ওয়েবসাইটে কর্মীদের উদ্দেশ্যে পোস্ট করা একটি স্মারকলিপিতে ঘোষণা করেছেন, 'আমি আত্মবিশ্বাসী যে মাইক্রোসফট এটি থেকে আরও শক্তিশালী এবং প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠে আসবে।' 

তিনি আরও লিখেন, 'কিছু কর্মচারী এই সপ্তাহের মধ্যে জেনে যাবেন, তারা তাদের চাকরি হারাচ্ছেন কি না।'

সেলসফোর্সে ৭ হাজার কর্মী ছাঁটাই

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সফটওয়্যার কোম্পানি সেলসফোর্স গত ৪ জানুয়ারি ঘোষণা করেছে, তারা তাদের মোট কর্মীর ১০ শতাংশ কমাচ্ছে। এছাড়া তাদের সংস্থার পুনর্গঠন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অফিসের কিছু জায়গাও তারা কমিয়েছে। সংস্থাটি ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭৯ হাজারেরও বেশি কর্মী নিয়োগ করেছে।

কর্মীদের কাছে একটি চিঠিতে সংস্থাটির সহ-সিইও মার্ক বেনিওফ বলেছেন, চ্যালেঞ্জিং অর্থনৈতিক পরিবেশের কারণে গ্রাহকরা অনেক মাপজোখ করে তাদের ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। যার ফলে সেলসফোর্স কর্মীদের ছাঁটাই করার জন্য 'খুব কঠিন সিদ্ধান্ত' নিতে বাধ্য হয়েছে।

টেসলায় ৬ হাজার কর্মী ছাঁটাই

গত বছর জুন মাসে টেসলার সিইও ইলন মাস্ক সমস্ত কর্মীদের উদ্দেশ্যে একটি ই-মেইলে লিখেছিলেন। সেখানে জানান, তাদের ১০ শতাংশ কর্মীর চাকরিচ্যুত করতে যাচ্ছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তথ্যমতে সংখ্যাটি প্রায় ৬ হাজার।

মাস্ক লিখেছেন, টেসলা ১০ শতাংশ কর্মী কমিয়ে ফেলবে। কারণ অনেক ক্ষেত্রে তাদের অতিরিক্ত স্টাফ হয়ে গিয়েছে। 

টুইটারে ৩ হাজার ৭০০ কর্মী ছাঁটাই

গতবছর অক্টোবরের শেষের দিকে ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে টুইটার কেনার পর নতুন মালিক ইলন মাস্ক প্রায় ৩ হাজার ৭০০ টুইটার কর্মী ছাঁটাই করেছেন। যা প্রায় তাদের মোট কর্মী সংখ্যার অর্ধেক। 

তারপর মাস্ক বাড়ি থেকে কাজ করার বিষয়ে কিছু নীতি পরিবর্তন করার ফলে আরও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কর্মচারী পদত্যাগ করেন। 

৪ নভেম্বর একটি টুইট বার্তায় মাস্ক বলেছিলেন, কর্মীদের ছাঁটাই করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। কারণ কোম্পানিটি প্রতিদিন প্রায় ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার লোকসান করছে।

কয়েনবেসে ২ হাজার কর্মী ছাঁটাই

ডিজিটাল মুদ্রা বিনিময় সিস্টেম কয়েনবেস গত ১০ জানুয়ারি ক্রিপ্টো বাজারের মন্দার সময় নগদ অর্থ সংরক্ষণ করার জন্য তার কর্মশক্তির প্রায় এক পঞ্চমাংশ কমানোর পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে।

একটি ব্লগ পোস্ট অনুসারে এক্সচেঞ্জটি ৯৫০টি চাকরি কমানোর পরিকল্পনা করেছে। ইতোমধ্যেই গতবছর জুনে তারা তাদের কর্মী সংখ্যার ১৮ শতাংশ কমিয়েছে। কয়েনবেসের সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত মোটামটি ৪ হাজার ৭০০ জন কর্মী ছিল। 

 স্ট্রাইপে ১ হাজার ১০০ কর্মী ছাঁটাই 

অনলাইন পেমেন্ট জায়ান্ট স্ট্রাইপ গত নভেম্বরে তার প্রায় ১৪ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। যার পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ১০০ কর্মী।

সিইও প্যাট্রিক কলিসন একটি স্মারকলিপিতে কর্মীদের কাছে লেখেন যে, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, মন্দার আশঙ্কা, উচ্চ সুদের হার, এনার্জি সংকট, কঠোর বিনিয়োগ বাজেট এবং স্পার্সার স্টার্টআপ তহবিলের সংকটের মধ্যে এই ছাঁটাই প্রয়োজনীয় ছিল। 

তিনি বলেন, এই সবগুলো উপাদান একত্রে এই ইঙ্গিত দেয় যে, '২০২২ সাল একটি ভিন্ন অর্থনৈতিক আবহাওয়ার সূচনার প্রতিনিধিত্ব করে।' 

গত বছর স্ট্রাইপের মূল্য ছিল ৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। জুলাই মাসে যার অভ্যন্তরীণ মূল্য ৭৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে কমে আসে।

রবিনহুডে ১ হাজার ১০০ কর্মী ছাঁটাই

খুচরা ব্রোকারেজ ফার্ম রবিনহুড গত এপ্রিল মাসে তার কর্মী সংখ্যার ৯ শতাংশ কমানোর পরে আগস্টে আবার ২৩ শতাংশ কর্মী কমিয়েছে। পাবলিক ফাইলিং এবং রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে এর পরিমাণ ছিল ১ হাজার ১০০ কর্মচারীর বেশি।

রবিনহুডের সিইও ভ্লাদ টেনেভ এর জন্যে, '৪০ বছরের সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে ক্রিপ্টো মার্কেটের ব্যাপক ক্র্যাশ এবং বৃহদাকার অর্থনৈতিক পরিবেশের অবনতিকে' দায়ী করেছেন।

এ ছাড়া বড় আকারে ছাঁটাই করা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আছে, কানাডাভিত্তিক বহুজাতিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান শপিফাই। যারা তাদের ১ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান স্ন্যাপ ১ হাজার,  লিফট ৭০০, ক্রিপ্টোডটকম ৫০০, নেটফ্লিক্স ৪৫০ জন কর্মী ছাঁটাই করেছে।

কর্মীদের উদ্দেশ্যে একটি বিবৃতিতে নেটফ্লিক্স বলেছে, 'যদিও আমরা ব্যবসায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগ করে যাচ্ছি, তবুও আমরা এই সঙ্গে সমন্বয় করছি। যাতে আমাদের ব্যয়, আমাদের ধীরগতির আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।'

ছাঁটাইয়ের প্রভাব

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যারা চাকরি হারাচ্ছেন তারা শিক্ষিত এবং নিয়োগক্ষেত্রে অত্যন্ত চাহিদাসম্পন্ন কর্মী। ছাঁটাইয়ের পর তাদের অনেককেই ক্ষতিপূরণ এবং সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া সিভিতে পূর্বে বিগ টেক কোম্পানিতে চাকরির অভিজ্ঞতা তাদেরকে চাকরির বাজারে খুব বেশি পিছিয়ে রাখবে না। তাই তাদের জন্য কর্মসংস্থানের খুব বেশি অভাব না থাকায় বিষয়টি খুব বেশি আশঙ্কাজনক নয় বলে মনে করছেন অনেকেই।

তবে প্রযুক্তি শিল্পের ক্ষেত্রে এর কিছু প্রভাব রয়েছে। ছাঁটাই হওয়া অভিজ্ঞ এই কর্মীরা আবার কাজ খোঁজার দরুন সামগ্রিক বেতন হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া নতুনদের জন্য কর্মসংস্থান পাওয়ার জন্য উচ্চতর অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষার প্রয়োজন হবে। যেহেতু তাদের কারণে কর্মসংস্থান বেশ প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠবে।  

তবে অস্ট্রেলিয়ান গণমাধ্যম দ্য কনভার্সেশনের মতে, সাম্প্রতিক এই ছাঁটাই বেশ নজরকাড়া হলেও সামগ্রিক অর্থনীতিতে এর খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। প্রকৃতপক্ষে বৃহদাকার এই প্রযুক্তি সংস্থাগুলো ১ লাখ কর্মী ছাঁটাই করলেও তা হবে প্রযুক্তি বিষয়ক কর্মশক্তির একটি ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ মাত্র।

কর্মী ছাঁটাইয়ের সংখ্যাগুলো অনেক বড় বলে মনে হতে পারে। কিন্তু সেগুলো প্রায়শই সংস্থাগুলোর সামগ্রিক কর্মী সংখ্যার অনুপাতে অনেক কম। অন্যদিকে বিগ টেক কোম্পানিগুলো এখনো বড় নিয়োগকর্তা। কিছু প্রযুক্তি সংস্থার জন্য ছাঁটাইয়ের এই সংখ্যা মহামারি চলাকালীন নতুন করে নিয়োগ দেওয়া বিশাল পরিমাণ কর্মীর একটি ভগ্নাংশ মাত্র।

 

তথ্যসূত্র: দ্য কনভারসেশন, সিএনবিসি, লেঅফস ডট এফওয়াইআই, ইন্ডিয়া টুডে

 

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

10h ago