এক্স প্রসঙ্গে ইলন মাস্ক: আমরা ব্যর্থ হতে পারি

এক্সের স্বত্তাধিকারী ইলন মাস্ক। ফাইল ছবি: রয়টার্স
এক্সের স্বত্তাধিকারী ইলন মাস্ক। ফাইল ছবি: রয়টার্স

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সের (সাবেক টুইটার) সত্ত্বাধিকারী ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি 'ব্যর্থ' হতে পারে। সম্প্রতি একটি কারিগরি সমস্যার কারণে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের আগে টুইট করা বেশিরভাগ ছবি এই প্ল্যাটফর্ম থেকে মুছে গেছে।

আজ সোমবার যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট এই তথ্য জানিয়েছে।

এক্সে পোস্ট করে মাস্ক বলেন, 'দুঃখজনক সত্যটি হল, এ মুহূর্তে কোনো অসামান্য 'সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক' নেই। অনেকের পূর্বাভাষকে সত্যে পরিণত করে আমরা ব্যর্থ হতে পারি। কিন্তু (তার আগে) আমরা অন্তত একটি (অসামান্য সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম) হওয়ার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবো।'

টুইটারকে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে কিনে নেওয়ার পর থেকেই প্রতিষ্ঠানটিতে একাধিকবার রদবদল করেছেন মাস্ক। যার মধ্যে রয়েছে, প্ল্যাটফর্মে বৈপ্লবিক নতুন পরিবর্তন নিয়ে আসা, টুইটারের কর্মীবাহিনীর ৭৫ শতাংশকে ছাঁটাই করা এবং সর্বশেষ ঘোষণা মতে, এই প্ল্যাটফর্ম থেকে ব্লক সেবা উঠিয়ে নেওয়া।

মাস্ক টুইটারের নিয়ন্ত্রণভার নেওয়ার থেকেই এই প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন ধরনের কারিগরি সমস্যা দেখা দিয়েছে। বেশ কয়েকবার লম্বা সময়ের জন্য সেবাটি বন্ধও ছিল।

সর্বশেষ এই সমস্যায় ২০১৪ সালের আগে পোস্ট করা ছবি ও লিংক সম্বলিত টুইট বার্তাগুলো প্রভাবিত হচ্ছে।

টুইটারে কোনো লিংক পোস্ট করা হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছোট করে দেওয়া হয়। এই সেবাকে 'বিল্ট-ইন ওয়েব লিংক শর্টেনার' বলা হয়। এই সেবার মাধ্যমে পোস্ট করা লিংক ও ছবিসহ পোস্টগুলো নিয়েই মূলত সমস্যা দেখা দিয়েছে।

শুরুতে ২০১৪ সালের অস্কারের সঞ্চালক, কৌতুক অভিনেতা এলেন ডিজেনেরেসের সবচেয়ে বেশিবার রিটুইট হওয়া ছবিটিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

তবে এক্স কর্তৃপক্ষ এই ছবিটি ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হলেও সে সময়ের বেশিরভাগ টুইট দেখা যাচ্ছে না বা সেগুলোতে থাকা ছবি ও লিংক কাজ করছে না।

ব্রাজিলের ইউটিউবার টম কোয়াতেস এক্সে পোস্ট করে বলেন, 'এটা ইলন মাস্কের বিধ্বংসী আচরণের সর্বশেষ উদাহরণ। টুইটার এখন ২০১৪ সালের আগে পোস্ট করা সব মিডিয়া মুছে ফেলেছে। এটা—এখন পর্যন্ত—প্রায় ২০০০ এর শুরুর দিক থেকে প্রায় ১ দশকের ছবি ও ভিডিও, যা এই সেবা থেকে হারিয়ে গেছে।'

এই কারিগরি ত্রুটি এমন সময় দেখা দিলো যখন মাস্কের এক্স স্বেচ্ছায় প্রতিদ্বন্দ্বী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, যেমন থ্রেডস, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের পেজগুলোতে যাওয়ার লিংকের গতি কমিয়ে দিয়েছে। এছাড়াও, গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতো কিছু সংস্থার পেজেও একই কাজ করে এক্স।

এক্স থেকে বের হয়ে ইন্টারনেটের অন্য কোনো সাইটে যাওয়ার লিংকে ক্লিক করার পর প্রায় ৫ সেকেন্ড বিলম্বের একটি ফিচার যোগ করে এক্স।

কিছু বিশ্লেষক ধারণা করছেন, এক্স মিডিয়া সার্ভারের জায়গা বাঁচাতে ব্যবহারকারীদের পুরনো ছবিগুলো দেখতে দিচ্ছে না। এটি হতে পারে খরচ বাঁচানোর উদ্যোগ।

তবে জানা গেছে, কিছু মানুষ এখন তাদের পুরনো ছবিগুলো দেখতে পাচ্ছেন। তবে কেন এই কারিগরি সমস্যা দেখা দিয়েছিল, তা এখনো জানা যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English

Students suffer as NCTB fails to deliver books

Only 37% of 40.15cr textbooks distributed till first half of Jan

12h ago