‘প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন নির্ভর করবে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষ, রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতার ওপর’
১৫ জানুয়ারি জমা দেওয়া চারটি কমিশনের প্রতিবেদন প্রাথমিক বিশ্লেষণ করে মনে হয়েছে, সুপারিশগুলো বাস্তবধর্মী। যদিও কিছু সুপারিশের ক্ষেত্রে মনে হয়েছে, সেখানে সুস্পষ্ট বিচার-বিবেচনার চেয়ে বেশি প্রাধান্য...
ভুয়া বা গায়েবি মামলা এবং অনিবাসী, মৃত বা নিরপরাধ নাগরিককে হয়রানি করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশও করেছে কমিশন।
আজ বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন তথ্য জানিয়েছেন।
'দুদককে আরও গতিশীল করার জন্য, আমরা স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী ব্যবস্থা হিসেবে ৪৭টি সুপারিশ প্রস্তাব করেছি।'
এখন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে চার সংস্কার কমিশনের প্রধানের বৈঠক চলছে।
বুধবার দুপুর ৩টায় সংবাদ সম্মেলন করে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে।
এই ছয় কমিশন ওয়েবসাইট খুলে মতামত সংগ্রহ, অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ, মতবিনিময়, জরিপ ও লিখিতভাবে মতামত সংগ্রহ করেছে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, দেশে যদি প্রতি পাঁচ বছর পর পর সুষ্ঠু নির্বাচন হতো এবং নির্বাচিত দল সরকার গঠন করত, তাহলে ক্ষমতাসীন দল বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে এতটা স্বৈরাচারী আচরণ করতে পারত না।
পুলিশ সংস্কার কমিশন প্রাথমিকভাবে দেড়শ বছরের পুরোনো পুলিশ আইন ও বিধিমালা সংশোধনের ওপর জোর দেবে যেন এগুলোকে সময়োপযোগী ও বাহিনীকে জনমুখী ও সেবামুখী করে তোলা যায়।
তিনি বলেন, 'আইনগুলোকে নিয়ন্ত্রণের জন্য নয় বরং গাইডলাইন আকারে দেখতে চায় সরকার।'
ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফেরানো, খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনা ও রাজস্ব খাতের সংস্কারের জন্য কঠোর উদ্যোগ নেওয়ার কথা বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন। বাংলাদেশ বিশ্বের সর্বনিম্ন কর-জিডিপি অনুপাতের দেশগুলোর একটি।