স্বচ্ছ জিজ্ঞাসাবাদ ঘর, প্রমাণের আগে আসামিকে মিডিয়ার সামনে না আনাসহ পুলিশ সংস্কার কমিশনের যেসব প্রস্তাব
আটক কিংবা রিমান্ডে নেওয়া আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রতিটি থানায় স্বচ্ছ কাঁচে ঘেরা আলাদা জিজ্ঞাসাবাদ কক্ষ; বিচার প্রক্রিয়ায় সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে চূড়ান্তভাবে দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত মিডিয়ার সামনে কাউকে অপরাধী হিসেবে উপস্থাপন না করাসহ বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেছে পুলিশ সংস্কার কমিশন।
প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া এই সুপারিশে ১৫টি বিষয়ে বিশদ বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
কমিশন সুপারিশ করেছে, তল্লাশির সময় পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় প্রদানে অস্বীকৃতি জানালে অথবা সার্চ ওয়ারেন্ট না থাকলে জরুরি কার্যক্রমের জন্য নাগরিক নিরাপত্তা বিধানে একটি জরুরি কল সার্ভিস চালু করা যায়।
অভিযান পরিচালনার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে বডি ওয়ার্ন ক্যামেরা এবং রেকর্ডিং ডিভাইসসহ সজ্জিত থাকতে হবে।
সন্ধ্যা থেকে সূর্যোদয়ের মধ্যে গৃহ-তল্লাশি করার ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা স্থানীয় সরকারি প্রতিনিধি বা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
কোনো থানায় মামলা রুজু তথা এফআইআর গ্রহণ ও তদারকি নিয়মিত দেখভাল করবেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপার।
ভুয়া বা গায়েবি মামলা এবং অনিবাসী, মৃত বা নিরপরাধ নাগরিককে হয়রানি করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশও করেছে কমিশন।
পুলিশ সংবিধান, বিভিন্ন আইন ও উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে কারো মানবাধিকার লঙ্ঘন করলে তাৎক্ষণিক প্রতিকার পাওয়ার জন্য নতুন হেল্পলাইন অথবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে সহযোগিতার বিষয়টি সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন।
থানায় কোনো কর্মচারীর বিরুদ্ধে ভয়ভীতি প্রদর্শন, অর্থ আদায় বা দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার এবং পুলিশ সদস্যদের নিয়মিত ডোপ টেস্ট ও সাইকোলজিক্যাল টেস্টের আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়েছে।
এ ছাড়া, অতিরিক্ত কাজের চাপ কমানোর জন্য পুলিশ সদস্যদের কাজের ঘণ্টা সুনির্দিষ্ট রেখে ৮ ঘণ্টার অতিরিক্ত ডিউটির ক্ষেত্রে বিশেষ প্রণোদনা চালুর সুপারিশ রাখা হয়েছে।
পুলিশ সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ:
Comments