আগের বছরের তুলনায় আগস্টে ৩৯ শতাংশ, সেপ্টেম্বরে ৮০ শতাংশ এবং অক্টোবরে ২১ শতাংশ বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলতি হিসাবের ঘাটতি ছিল ১২৭ মিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৯৩ শতাংশ কম।
শিল্পখাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রেমিট্যান্স প্রবাহের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা স্বস্তির জায়গা তৈরি করবে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাবে।
দেশের ক্রমেই কমতে থাকা রিজার্ভকে শক্তিশালী করতে এটি আশার আলো দেখাচ্ছে।
সেপ্টেম্বরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ৪০৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় ৮০ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি।
‘রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের ভিআইপি সেবা দেওয়া হবে বিমানবন্দরে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা কর্মীদের।’
উচ্চ আমদানি বিল, প্রত্যাশার চেয়ে কম রেমিট্যান্স ও রিজার্ভ কমে যাওয়ায় ডলার সংকটের কারণে আন্তঃব্যাংক মুদ্রার বাজার অনেক দিন থেকেই বিশাল চাপে ছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৮ আগস্ট পর্যন্ত প্রবাসী বাংলাদেশিরা আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে ২০৭ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন।
২০২৩ সালের আগস্টের একই সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল ১৪৩ কোটি ডলার।
‘বৈধ ও সঠিক ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠালে দেশ উপকৃত হবে এবং উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে।’
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে রপ্তানি আয় আগের বছরের তুলনায় ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলারে।
প্রবাসীদের ক্ষেত্রে ব্যাংক প্রতি ডলারের মূল্য ১০৮ টাকা দেবে। তবে এর সঙ্গে সরকার ঘোষিত ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা যোগ হবে।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পরিবার-পরিজনের কাছে অর্থ পাঠানোয় গত মার্চে দেশে ৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে।
‘আমাদের দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে হবে এবং সে জন্য আমরা কর্মীদের জন্য বহুমুখী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি।’
যুক্তরাষ্ট্রে ৫ লাখ এবং সৌদি আরবে ২০ লাখ বাংলাদেশি অভিবাসী রয়েছেন।
জানুয়ারিতে দেশে গত ৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স অর্জিত হয়েছে।
বাংলাদেশ গত ডিসেম্বরে ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে, যা এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ২৯ শতাংশ বেশি।
রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ কমে যেতে পারে।