আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ‘তারা বেশ ইতিবাচক। এ বিষয়ে আরও আলোচনা হবে।’
প্রতিনিধি দলটি আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায় এসে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।
সাধারণত আকুর মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতি দুই মাস পরপর আমদানি বিল পরিশোধ করে এবং এই বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ কিছুটা কমে যায়।
অভিযোগ উঠেছে—এর ফলে শেষ পর্যন্ত লাভবান হয়েছে ইসলামী ব্যাংকের তৎকালীন নিয়ন্ত্রক বিতর্কিত এস আলম গ্রুপ।
সরকার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চায়
সাধারণত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও উন্নয়ন সহযোগীর মধ্যে ঋণচুক্তি স্বাক্ষরের পরপরই বিদেশি সহায়তা পাইপলাইনে চলে আসে।
কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে যে হারে ঋণ দেয় তাকেই পলিসি রেট বা রেপো রেট বলে।
যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে আর্থিক খাত সুরক্ষিত রাখতে ও নির্বিঘ্নে লেনদেন নিশ্চিত করতে ইন্টারনেটের বিকল্প নিয়ে পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৩১ জুলাই পর্যন্ত রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক থেকে ২০০ মিলিয়ন ডলার কিনেছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে।
দুই ঋণদাতার ঋণ যোগ হওয়ার পর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আজ ২০ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের অক্টোবর শেষে আর্থিক হিসাবের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছর ছিল ১ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার।
‘আন্তঃব্যাংক বিনিময় হারে গত সোমবার পাঁচ কোটি ডলার ও মঙ্গলবার দুই কোটি ডলার কেনা হয়েছে।’
সংশোধিত বাজেট সংক্রান্ত নীতিমালায় জানানো হয়েছে, অর্থ বিভাগের অনুমোদন ছাড়া শুধু নতুন নয়, চলমান প্রকল্পেও অর্থ বরাদ্দ করা যাবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক আজ বুধবার এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (এসিইউ) মাধ্যমে কিছু আমদানি বিল পরিশোধ করার পর রিজার্ভ এখন এ অবস্থায় দাঁড়িয়েছে।
কিন্তু ডলারের কম মজুদ, টাকার অবমূল্যায়ন ও বৈশ্বিক সুদের উচ্চহারের কারণে উদ্যোক্তারা এই ধরনের ঋণ এড়িয়ে চলছেন।
দুই বছরের ব্যবধানে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অর্ধেকে নেমে এসেছে এবং প্রতি মাসে রিজার্ভ কমছে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হচ্ছে। ফলে, আমদানি নির্ভর এই অর্থনীতির আমদানি ব্যয় অনেক বেড়েছে।
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৬০ মিলিয়ন ডলার কমেছে।
গত ১৮ মাসে উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমাতে ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধরে রাখতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারেনি বাংলাদেশ। বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক সংকটের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে অর্থনীতির এই দুই প্রধান সূচক।