আবার ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামল রিজার্ভ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ফর্মুলা অনুযায়ী বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, আইএমএফ ফর্মুলা অনুযায়ী- গত বুধবার পর্যন্ত রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২১ সালের আগস্টে ছিল ৪০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।
গত ডিসেম্বরে আইএমএফ ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণ পাওয়ার আগে ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছিল রিজার্ভ। আইএমএফ ও এডিবির কাছ থেকে ১ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলার ঋণ পেয়েছিল বাংলাদেশ।
মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বিশ্বব্যাপী দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। এতে বাংলাদেশের মতো আমদানিনির্ভর দেশের রিজার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল প্রায় ৩৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার।
কিন্তু, ব্যাংকগুলো বিশেষ করে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন ও বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনসহ বিভিন্ন সংস্থার আমদানি দায় পরিশোধের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে মার্কিন ডলার সহায়তা নিচ্ছে। এতে ধারাবাহিকভাবে রিজার্ভ কমছে।
অন্যদিকে ডলারের সবচেয়ে বড় দুই উৎস রপ্তানি ও প্রবাসী আয় প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি।
আন্তর্জাতিক বাজারে পোশাক বিক্রিতে মন্দার কারণে সদ্য সমাপ্ত বছরে রপ্তানি কেবল ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেড়ে ৫৫ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
একইভাবে ২০২৩ সালে প্রবাসীরা ২১ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা আগের বছরের তুলনায় মাত্র ২ দশমিক ৯৬ শতাংশ বেশি।
এদিকে বিধিনিষেধ সত্ত্বেও আমদানি এখনো উচ্চ পর্যায়ে আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে আমদানি ২০ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমে ২৫ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
Comments