বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাজনীতি এখন তার জীবনের কেন্দ্রবিন্দু হলেও তিনি কখনো ক্রীড়াঙ্গনকে রাজনীতিকরণ সমর্থন করেননি।
‘সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এটি একটি টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে।’
আজ মঙ্গলবার ভোর পৌনে ৩টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে তিনি ব্যাংককের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল কায়েম, গণতন্ত্র ধ্বংস ও নির্যাতন করায় দেশের ১৮ কোটি মানুষ আওয়ামী লীগকে দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এই গণতান্ত্রিক চেতনা ও শাসনব্যবস্থার কল্পিত নৈতিকতা বিএনপির তৃণমূলের বাস্তবতায় প্রতিফলিত হচ্ছে না।
কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রাখাইনে ‘মানবিক করিডর’ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা আরেকটা গাজায় পরিণত হতে চাই না। আর যুদ্ধ দেখতে চাই না।’
আজ সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন দেশে আসবেন কবে, এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যতটুকু শুনেছি, আমি পুরোপুরি নিশ্চিত না… এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে তিনি দেশে ফিরবেন।’
‘সরকারকে অনুরোধ করব, সমস্ত বিপদগুলোকে কাটিয়ে সত্যিকার অর্থে একটি মুক্ত বাংলাদেশ নির্মাণ করার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন।’
বৈঠকে দেশের নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, সার্বিক পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক অবস্থাসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস তো ছাত্রদের-আমাদের মনোনীত ব্যক্তি যাকে আমরা গোটা জাতির পক্ষ থেকে দায়িত্ব দিয়েছি… তিনি এই দায়িত্ব পালন করবেন।’
‘আমাদের নেতা তারেক রহমান এই আন্দোলনে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করেছেন প্রতি মুহূর্তে। এই ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাকেও অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য আমরা সব রকম ব্যবস্থা...
‘আমরা পরস্পর পরস্পরের পাশে থেকে সহযোগিতা করবো।’
‘গণজাগরণ শুরু হয়ে গেছে, আন্দোলন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গণবিচ্ছিন্ন সরকার আইন, সংবিধান, গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি, মানবিকতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জনরোষ থেকে বাঁচতে যা ইচ্ছা তাই করছে।'
‘সময় ও যোগাযোগের প্রতিবন্ধকতার কারণে বিবৃতির মাধ্যমে সম্মতি প্রদান করা যেতে পারে,’ উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব।
এ সময় তিনি পুরো ঘটনা ও হত্যাকাণ্ডের আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানান।
‘আমি বুঝতে পারছি না যে, জানাজা পড়লে কী হবে? বাধা দেওয়াটাই তো অন্যায়!’