‘স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলেও বাংলাদেশ এখনো সংকট কাটিয়ে উঠতে পারেনি।’
‘অতি দ্রুত নির্বাচনকেন্দ্রীক সংস্কার করে নিরপেক্ষ নির্বাচন করা প্রয়োজন। একমাত্র সেটাই সব সংকট নিরসন করতে পারে।’
‘নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার মূল হোতা ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করার মূলনায়ক বিচারপতি খায়রুল হকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে।’
‘আমরা কোনো বিরাজনীতিকরণের রাজনীতি বিশ্বাস করি না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করছে। তারা গাজীপুরে পোশাক কারখানা নিয়ে যড়যন্ত্র করছে।
‘ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে কতজনকে ব্যবসা হারাতে হয়েছে, জমি হারাতে হয়েছে, চাকরি হারাতে হয়েছে—তার হিসাব নেই। নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিষয়গুলো উপলব্ধি করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।’
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, অন্যায় করবেন না, নিজেদের জনপ্রিয় করে তুলুন।
তিনি বলেন, তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন। বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বাইরে যাবেন।
তিনি বলেন, একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন করতে হলে ন্যূনতম যে পরিবর্তনগুলো দরকার, ব্যবস্থা দরকার সেটা করতে হবে।
‘জনগণের রুদ্ররোষের শিকার হয়ে এই সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে।’
‘কোনো সভ্য-সুস্থ নাগরিক প্রতিপক্ষ সম্পর্কে এমন সন্ত্রাসীসুলভ কথা বলতে পারে না।’
‘আওয়ামী লীগের সম্পূর্ণ লক্ষ্য একটাই যে, এ দেশে কোনো বিরোধী দল থাকবে না, এ দেশে তারাই সরকার চালাবে, তারাই সরকারে থাকবে।’
‘আওয়ামী লীগ সরকার বড় কথা বলে, উন্নয়ন করেছি, মেগা প্রজেক্ট, দেখতে পায় না কেন, এটা তাদের চোখে পড়ে না, তারা সব অন্ধ—এখন তো আসল কথা বেরিয়ে আসছে...’
শত প্ররোচনার মুখেও আমরা কিন্তু একেবারেই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি।
তাদের চরিত্র, তাদের কথা-বার্তা বলা সব কিছুর মধ্যে একটা সন্ত্রাসী ব্যাপার থাকে। একটা জমিদারি ব্যাপার থাকে।
মির্জা ফখরুল বলেন, 'আমরা এক ঘোর অন্ধকারের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। রাষ্ট্র এখন আর রাষ্ট্র নেই। রাষ্ট্র এখন পুরোপুরিভাবে একটা যন্ত্রণা-অত্যাচার-নির্যাতন-নিপীড়নের কারখানা হয়ে গেছে।'
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ সোমবার সংবাদ সম্মেলনে দলীয় কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন।
বলে দাম তো ফিক্স করে দিয়েছি—দাম ফিক্স করলেই কি দাম কমানো যায়?
‘এই সরকারের পতন ছাড়া ঘরে ফিরে যাব না।’