এর আগে, বকেয়া পরিশোধে বিলম্বের কারণে আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড গত ৩১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে।
পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসির তথ্যে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে আদানি প্ল্যান্ট অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।
কেপিসিএল এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, বিপিডিবির সঙ্গে আলোচনা সত্ত্বেও আনুষ্ঠানিক কোনো ক্রয় চুক্তি হয়নি।
এর ফলে সেচের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ, সার উৎপাদন ও শিল্প কারখানায় গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানো সম্ভব হবে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
নতুন করে কুইক রেন্টাল চুক্তি নবায়ন করা হবে না।
‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিগত সময়গুলোতে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। ২০১০ সালে আইন করার মাধ্যমে কোনো প্রতিযোগিতা ছাড়াই প্রকল্প নেওয়া হতো।’
আগামী ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে আমাদের বিদ্যুৎ আগের থেকে ভালো হবে।
‘দেশের চাহিদা মেটাতে বিদ্যুৎকেন্দ্রে যতটা জ্বালানি দরকার, সেই পরিমাণে সরকার কখনোই আমদানি করতে পারেনি।’
‘বয়লার ঠাণ্ডা করে মেরামত শুরু করতেই তাদের কমপক্ষে দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যাবে।’
রাজধানীতে প্রতিদিন ৪-৫ ঘণ্টা এবং গ্রামাঞ্চলে ৮-১০ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে।
‘আমাদের দেশে যথেষ্ট পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র আছে। সংকটটা জ্বালানির। কয়লা যে আমদানি করব, আমাদের তো সেই ডলার নেই।’
আমি মনে করি, এটা খুব সাময়িক। এটা নিয়ে এত হতাশ হওয়ার কিছু নেই।
রাজধানীতে গড়ে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না, কোথাও কোথাও ৭ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ না থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। গ্রামাঞ্চলের কিছু এলাকায় ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকছে না।
‘শিল্পগুলো ন্যায্যমূল্যে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি না পেলে উৎপাদন ব্যাহত হবে এবং অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়বে।’
‘পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি হাফ বন্ধ আছে এবং আমাদের সেকেন্ড হাফও আগামী ৫ জুনের পর বন্ধ হয়ে যাবে।’
নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল প্রচণ্ডর মধ্যে আলোচনার সময় এই চুক্তি হয়েছে।
১৩ হাজার ২৫০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে গতকাল সন্ধ্যায় দেশে উৎপাদন ছিল ১১ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট।
আবাসিক খাতে যারা পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহকৃত গ্যাস ব্যবহার করেন, অনেক দিন ধরেই তারা এই অন্যায্য পদ্ধতির শিকার। তারই মধ্যে শুরু হয়েছে নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যোগ।
আগামী অর্থবছরে মোট ভর্তুকি বরাদ্দ থাকবে এক লাখ ১০ হাজার কোটি টাকার ওপরে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে যা ছিল ৮১ হাজার কোটি টাকা।