প্রকল্পের উৎপাদন শুরু করতে যেসব প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরা হয়েছে, তার মধ্যে অসম্পন্ন গ্রিড লাইনের কাজের বিষয়টি উঠে এসেছে।
জাতীয় বিদ্যুৎ উৎপাদনের ঘাটতি আজ প্রায় ৫০০ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে।
আজ রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাহেদা পারভীনের সই করা পরিপত্রে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
তবে বাংলাদেশ বিদ্যুতের দামে যে ছাড় ও কর–সুবিধা চেয়েছিল তা প্রত্যাখ্যান করেছে আদানি।
বাংলাদেশে মাথাপিছু বার্ষিক বিদ্যুতের ব্যবহার ৫৫৩ ইউনিট (কিলোওয়াট/ঘণ্টা)। একমাত্র পাকিস্তান এদিক থেকে বাংলাদেশের পেছনে রয়েছে।
এর আগে, বকেয়া পরিশোধে বিলম্বের কারণে আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড গত ৩১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে।
পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসির তথ্যে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে আদানি প্ল্যান্ট অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।
কেপিসিএল এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, বিপিডিবির সঙ্গে আলোচনা সত্ত্বেও আনুষ্ঠানিক কোনো ক্রয় চুক্তি হয়নি।
এর ফলে সেচের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ, সার উৎপাদন ও শিল্প কারখানায় গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানো সম্ভব হবে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
আজকেই বিদ্যুৎ বিভাগ এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
‘সরকার বিপুল অর্থ ব্যয় করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে এবং ভর্তুকি মূল্যে সরবরাহ করে। কিন্তু বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেল ও এলএনজির দাম বেড়েছে। এরপরও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা...
ভর্তুকি তুলে নিতে ধাপে ধাপে দাম বাড়বে
‘বিদ্যুৎ সুবিধা আমরা যদি বজায় রাখতে চাই, তাহলে সমন্বয়টা আমাদের করতে হবে।’
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল বলেন, ‘জনগণের দাবি বিদ্যুৎ পাওয়া। তারা আর বিদ্যুতের জন্য অপেক্ষা করতে চায় না এবং উৎপাদন খরচ দেখতে চায় না।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা আছে। কিন্তু মূল সমস্যা হচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য প্রাথমিক জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা।
এই সরকারি সংস্থাটি মূলত টাকার অবমূল্যায়ন, জ্বালানির খরচ বৃদ্ধি ও ভারত থেকে অধিক পরিমাণ বিদ্যুৎ আমদানি করে ৪৭ হাজার ৭৮৮ কোটি টাকা লোকসান করেছে।
আজ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পারমাণবিক জ্বালানিবাহী বিশেষ বহর ঢাকা বিমান বন্দর থেকে প্রকল্প এলাকায় যাত্রা করে। এ উপলক্ষে প্রকল্প এলাকার রাস্তায় গড়ে তোলা হয় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা অতিদ্রুত স্বাভাবিক করা হবে।
জাতীয় গ্রিডে সংযোগ না থাকার কারণে এ জনদুর্ভোগ বলে মনে করেন অনেকে।