গত জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২৪ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে—গত ২০ মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর এনওপি ৫৫০ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এটি মাসের শুরুতে ছিল মাত্র ১৫০ মিলিয়ন ডলার।
ডিসেম্বরে এসেছে ২ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার, যা এক মাসের রেমিট্যান্সের রেকর্ড...
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, ‘প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বৃদ্ধির প্রভাবে রিজার্ভ বেড়েছে।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলতি হিসাবের ঘাটতি ছিল ১২৭ মিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৯৩ শতাংশ কম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের একই মাসে প্রবাসী আয় এসেছিল এক দশমিক ছয় বিলিয়ন ডলার।
মেজবাউল হক বলেন, জুলাইয়ের শেষ দিনে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১২০ মিলিয়ন ডলার।
ব্যাংকার ও এমএফএস প্রোভাইডারদের কর্মকর্তারা জানান, ১৮ জুলাই মধ্যরাত ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় রেমিট্যান্স সংগ্রহ বন্ধ ছিল।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রবাসী আয় দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছরের চেয়ে যা ১০ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি
বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর কাছে মার্কিন ডলার বিক্রির সময় ব্যাংকগুলোর জন্য নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি পাবে না ফরেন এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো।
চলতি বছরের অক্টোবরে প্রবাসী আয় এসেছে ১ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার, যা চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ধীর গতির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষ করেছিল বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরেও একই প্রবণতা অব্যাহত আছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে অভিবাসী শ্রমিকরা ১.৩৪ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধীর গতি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়া অর্থনীতির জন্য ভালো সংবাদ নয়, বরং তা উদ্বেগজনক।
চলতি বছরের আগস্টে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১.৫৯ বিলিয়ন ডলার।
দেশের সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে বিদায়ী অর্থবছরের জুনে ২১৯ কোটি ৯০ লাখ রেমিট্যান্স এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, প্রবাসীরা গত মে'তে ১.৬৯ বিলিয়ন ডলার এবং এপ্রিলে ১.৬৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অপ্রয়োজনীয় আমদানি নিরুৎসাহিত করা এবং প্রবাসী আয় উৎসাহিত করাসহ বেশকিছু উদ্যোগের কারণে আগামীতে রিজার্ভে স্বস্তি ফিরে আসার সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে।
‘যারা কেবল দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আর্জি নিয়ে চাতক পাখির মতো বিদেশি প্রভুদের দিকে চেয়ে থাকে, তারা রেমিট্যান্স বৃদ্ধির সুখবর কোনোভাবেই মেনে নিতে পারবে না সেটাই স্বাভাবিক।’