এ রেমিট্যান্সের পরিমাণ আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।
এপ্রিলে মোট প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ছিল দুই দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার।
গত ১১ মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ২৯ শতাংশ বেশি।
গত জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২৪ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে—গত ২০ মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর এনওপি ৫৫০ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এটি মাসের শুরুতে ছিল মাত্র ১৫০ মিলিয়ন ডলার।
ডিসেম্বরে এসেছে ২ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার, যা এক মাসের রেমিট্যান্সের রেকর্ড...
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, ‘প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বৃদ্ধির প্রভাবে রিজার্ভ বেড়েছে।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলতি হিসাবের ঘাটতি ছিল ১২৭ মিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৯৩ শতাংশ কম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের একই মাসে প্রবাসী আয় এসেছিল এক দশমিক ছয় বিলিয়ন ডলার।
রপ্তানি ছাড়া প্রবাসী আয় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার অন্যতম প্রধান উৎস।
মূলত ব্যাংকগুলো প্রবাসীদের কাছ থেকে বেশি হারে ডলার কেনায় রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাফেদা-এবিবির বেঁধে দেওয়া বিনিময় হারের তুলনায় যেসব ব্যাংক বেশি টাকা দিচ্ছে সেসব ব্যাংক বেশি পরিমাণে রেমিট্যান্স পাচ্ছে।
বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর কাছে মার্কিন ডলার বিক্রির সময় ব্যাংকগুলোর জন্য নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি পাবে না ফরেন এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো।
চলতি বছরের অক্টোবরে প্রবাসী আয় এসেছে ১ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার, যা চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ধীর গতির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষ করেছিল বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরেও একই প্রবণতা অব্যাহত আছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে অভিবাসী শ্রমিকরা ১.৩৪ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধীর গতি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়া অর্থনীতির জন্য ভালো সংবাদ নয়, বরং তা উদ্বেগজনক।
চলতি বছরের আগস্টে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১.৫৯ বিলিয়ন ডলার।
দেশের সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে বিদায়ী অর্থবছরের জুনে ২১৯ কোটি ৯০ লাখ রেমিট্যান্স এসেছে।