রেমিট্যান্স বাড়ায় চলতি হিসাবের ঘাটতি কমেছে

পলিসি রেট
অলঙ্করণ: স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

প্রবাসী আয় বৃদ্ধির কারণে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে বাংলাদেশের চলতি হিসাবের ঘাটতি কমেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলতি হিসাবের ঘাটতি ছিল ১২৭ মিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৯৩ শতাংশ কম।

চলতি হিসাবের ব্যালেন্স কোনো দেশের নেট অর্থ প্রবাহের অবস্থাকে তুলে ধরে। অর্থনীতিবিদরা এই ভারসাম্যকে একটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার মূল সূচক হিসেবে ব্যবহার করেন।

সাম্প্রতিক তথ্য বিদেশি লেনদেনের ভারসাম্য বা বিওপির ওর চাপ কমার ইঙ্গিত দেখা গেছে। বিওপি দিয়ে মূলত বিশ্বের বাকি অংশের সঙ্গে একটি দেশের সামগ্রিক লেনদেনের পরিমাণকে বোঝানো হয়। গত দুই বছর ধরে বাংলাদেশের বিদেশি লেনদেনের ভারসাম্য বা বিওপি চাপের সম্মুখীন হচ্ছে।

২০২৫ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে প্রবাসী আয় এসেছে আট দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার এবং প্রবাসী আয়ের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩০ শতাংশ।

এই তিন মাসে দেশের বাণিজ্য ঘাটতিও কমেছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাণিজ্য ঘাটতি ছিল চার দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৪ অর্থবছরের একই সময়ের পাঁচ দশমিক ০১ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে কম।

মূলত আমদানি ব্যয়ের চেয়ে রপ্তানি আয় বৃদ্ধির কারণে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে।

২০২৫ অর্থবছরের তিন মাসে রপ্তানি আয় আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে পাঁচ দশমিক এক শতাংশ বেড়ে ১০ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে আমদানি ব্যয় আগের বছরের চেয়ে শূন্য দশমিক নয় শতাংশ বেড়ে ১৫ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

বিদেশি লেনদেনের ভারসাম্যের আরেকটি ভালো খবর হলো, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে আর্থিক হিসাব পজিটিভ হয়েছে।

বিওপির তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে আর্থিক হিসাবে ৫৬০ মিলিয়ন ডলার উদ্বৃত্ত রেকর্ড করা হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের এক দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার ঘাটতি ছিল।

২০২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে বাংলাদেশের সামগ্রিক বিদেশি লেনদেনের ভারসাম্যহীনতা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৯ শতাংশ কমে এক দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত অর্থবছরের এই সময়ে যা ছিল দুই দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার।

Comments

The Daily Star  | English

Remittance-rich Sylhet ranks poorest in new index

Long seen as the “London of Bangladesh” for its foreign earnings and opulent villas, Sylhet has been dealt a sobering blow. The country’s first Multidimensional Poverty Index (MPI) has revealed that the division is, in fact, the poorest in Bangladesh when measured by access to education, healthc

3h ago