এসব সম্পত্তির বাজার মূল্য ৪০৭ কোটি ২১ লাখ টাকা বলে জানা গেছে।
সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে অর্থপাচার, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের তদন্ত ইতোমধ্যে শুরু করেছে দুদক।
দুদক কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহসান ফরিদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
‘অনেক সময় আমাকে শুনতে হয়—আপনারা দুর্নীতির কথা বলেন, কিন্তু আপনার নিজের অফিসই তো দুর্নীতিগ্রস্ত। এটি কিন্তু একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার মতো বিষয় নয়!’
আজ বুধবার দুদক মহাপরিচালক আখতার হোসেন সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
ফ্ল্যাটটি তিনি ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের কাছ থেকে গুলশান-২ এর ৭১ নম্বর রোডের একটি ফ্ল্যাট নিয়েছেন।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুদকের প্রতিনিধিরা বিসিবি কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। ঘণ্টা দেড়েক সেখানে অবস্থান করার পর দুদকের সহকারী পরিচালক আল আমিন গণমাধ্যমে জানান, তারা মূলত তিনটি অভিযোগ নিয়ে কাজ করছেন।
সাবেক এই মন্ত্রীর মালিকানাধীন তিনটি গাড়ি জব্দেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এই তদন্তে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানাসহ আরও অনেকের নাম আছে।
মামলায় ৩০ কোটি ৩৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৩৬ কোটি ৯১ লাখ টাকার সম্পদের বিবরণী গোপনের অভিযোগও রয়েছে।
তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ঢাকার আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের পাশাপাশি বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগ রয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বন্ধ ফাইলটি আবার খোলা হয়।
শেখ হাসিনার সাবেক একান্ত সহকারী মো. জাহাঙ্গীর আলমের অবৈধ সম্পদের তদন্তের সিদ্ধান্তও নিয়েছে দুদক।
এর মধ্যে ১২ জন আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বশেষ মন্ত্রিসভায় ছিলেন।
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করেছে সংস্থাটি।
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চক্রের অন্যতম সদস্য হিসেবে রমরমা ব্যবসার অভিযোগে এ অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে।
দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্ত করবে দুদক।
মামলায় সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেনসহ সাত জনকে আসামি করা হয়েছে।