পূর্বাভাসে বলা হয়, এ মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে অন্তত এক থেকে দুটি নিম্নচাপ কিংবা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে ঝড়ো হাওয়ায় গাছের ডাল চাপা পড়ে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ‘দানা’
শ্যামনগর উপজেলার প্রায় ১০ হাজার একর চিংড়ি ঘের পানিতে একাকার হয়ে গেছে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে আজ সোমবার সকাল থেকেই বিদ্যুৎ নেই বগুড়ার সবগুলো উপজেলায়। আশপাশের অন্যান্য জেলাগুলোর গ্রাহকরাও ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাটের অভিযোগ করেছেন। তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন,...
বিদ্যুতের তার ছিঁড়েছে অন্তত ৭১ হাজার ৭২৯ জায়গায়।
ঝড়ের কারণে জেলার অন্তত ৪৫ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন। এর ভেতর ১০ হাজার ঘরবাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে।
প্রবল বাতাসের সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতে দেশের উপকূলীয় অঞ্চল বিপর্যস্ত।
রেমালের প্রভাবে জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ধীরে ঘনীভূত হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
‘এই ঘূর্ণিঝড়ে সাতক্ষীরা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত পুরো এলাকা কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সাত থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কি না, বা রূপ নিলেও কোনদিকে অগ্রসর হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
জেলার বেশকিছু স্থানে বিদ্যুতের খুঁটির ওপর গাছ ভেঙে পড়ায় দুপুর থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
উপকূলীয় এলাকা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ অব্যাহত আছে।
১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে নিহতদের স্মরণে পটুয়াখালীতে মোমবাতি প্রজ্বলন, বরগুনায় শোভাযাত্রা ও দোয়া মাহফিল হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা ৭টার পর তীব্রগতিতে কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করে।
আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রায় ১০০-১৫০ পর্যটক স্বেচ্ছায় দ্বীপে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জেলাগুলো হলো-পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুর।