তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে।
‘নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের একটি অংশ গুমসহ নানা বেআইনি কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল, যার ফলে অনেককে পেশাগত ও ব্যক্তিগতভাবে ভুগতে হয়েছে।’
গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে দুইটি স্থাপনায় র্যাবের আলামত নষ্ট করার বিস্তারিত প্রমাণ দেওয়া হয়েছে।
সকাল ১১টা ২০ মিনিটের দিকে ট্রাইব্যুনালে পৌঁছান তিনি।
নতুন অধ্যাদেশ আনছে সরকার
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে যে বিষয়টি অগ্রাধিকার পাচ্ছে তা হচ্ছে গুম, খুন মানবতাবিরোধী অপরাধ ও বিগত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকারের আমলে ঘটে যাওয়া অকল্পনীয় ও নৃশংসতম...
এর আগে, রাজধানীর হাইকোর্ট মাজার গেটে মানববন্ধন করেন তারা।
এই সিদ্ধান্ত গত ১৫ মার্চ থেকে কার্যকর হিসেবে গণ্য হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার প্রচেষ্টাগুলোকেও সবার সমর্থন করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
‘এটি একটি লোমহর্ষক প্রতিবেদন। মানুষ মানুষের প্রতি কী পরিমাণ নৃশংস হতে পারে এতে আছে তার বিবরণ। অবিশ্বাস্য বর্ণনা। সরকারের আক্রোশের শিকার হয়ে ঘটনাচক্রে যারা এখনো বেঁচে আছেন তারা আজ পর্যন্ত মুখ খুলতে...
‘আনফোল্ডিং দ্য ট্রুথ’ শিরোনামে জমা দেওয়া রিপোর্টে কমিশন সদস্যরা এখন পর্যন্ত পাওয়া এক হাজার ৬৭৬টি অভিযোগের মধ্যে ৭৫৮ জনের অভিযোগ যাচাই-বাছাই করেছেন।
তাদের হাতে বিভিন্ন ছবি ও প্ল্যাকার্ড ছিল। তারা ন্যায়বিচারের আহ্বান জানিয়েছেন।
তারা হলেন, রাঙ্গামাটি ট্রেনিং সেন্টারের সাবেক পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী ও বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন।
তারা হলেন, রাঙ্গামাটি ট্রেনিং সেন্টারের সাবেক পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী ও বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন।
‘আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো প্রমাণ নষ্ট করছে। তারা সেল ও দেয়াল ভেঙে ফেলছে। যেসব বাহিনী প্রমাণ নষ্ট করছে তারা আমাদের সহযোগিতা করছে না। এখনকার কর্মকর্তারাও আগের কর্মকর্তাদের অপরাধে জড়িত ছিলেন।’
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ভবিষ্যতে আর কখনো গুম বা হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে বা বলে র্যাব মহাপরিচালক একেএম শহীদুর রহমান জানিয়েছেন।
গুম ব্যক্তিদের সন্ধানে তদন্ত কমিশন গঠনের প্রথম ১৩ দিনে ৪০০ অভিযোগ জমা পড়েছে।
আগামী ১৫ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অভিযোগ জমা দেওয়া যাবে।
এখনো প্রিয়জনের অপেক্ষায় গুমের শিকার ২ ব্যক্তির পরিবার।